ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের শুরুতে কিছুটা দর্শনার্থীদের খরা থাকলেও ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সংখ্যা গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। এতে বিক্রেতাদের মুখেও হাসি ফিরতে শুরু করেছে। তবে মেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে সড়কে যানজট না থাকলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বেশি হতো বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭টি বড় প্যাভিলিয়নসহ ৩৩১ স্টল রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি দেশের ১৭টি বিদেশী স্টল রয়েছে। তার মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রতিষ্ঠান প্রথম সপ্তাহে আশানুরূপ বিক্রি করতে পারেনি। দ্বিতীয় সপ্তাহ শেষে সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বলছেন, বিক্রি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও বেড়েছে।
গতকাল মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলার প্রবেশ গেটে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। আর স্টলগুলোর বিক্রয়কর্মীরা কম-বেশি ক্রেতা সামলাতে ব্যস্ত। দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও পছন্দের জিনিস ক্রয় করতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। আবার অনেক দর্শনার্থী মেলা ঘুরে দেখার পাশাপাশি সেলফিবন্দি করছে মেলার স্মৃতি।
আয়োজকরা জানান, মেলায় প্রতিদিন ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা থাকে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মতো। তবে শুক্রবার রেকর্ড পরিমাণ দর্শনার্থী হয়েছে। এদিন ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি ২ লাখ ছাড়িয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার মেলায় দর্শনার্থী ছিল ৩০ হাজারের মতো। কারণ ওইদিন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) এবং ৩০০ ফুট সড়কের প্রায় ২৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে মেলায় আসতে পথে পথে ভোগান্তির শিকার হন দর্শনার্থীরা।
অন্যবারের মতো এবারো মেলায় বিভিন্ন মানের ও দামের পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে নানা প্রতিষ্ঠান। দেশী-বিদেশী ক্রেতারা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে যেমন পছন্দের পণ্য কিনছেন, তেমনে বিদেশী ক্রেতাদের থেকে আসছে ক্রয় আদেশও। দেশী ব্র্যান্ডের পণ্য, ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। রয়েছে কোটি টাকার পালঙ্কও। এসব পণ্য বিক্রিতে বিক্রেতারা দিচ্ছেন নানা রকম ছাড়, উপহার।
২০১৮ সাল থেকে মেলায় অংশ নিচ্ছে কারাপণ্যের একটি স্টল। জেলখানার কয়েদিরা দীর্ঘদিন ধরে পণ্য তৈরি করেন। এসব পণ্য কয়েকটি কারাগারের বিক্রয়কেন্দ্রে বছরজুড়েই পাওয়া যায়। কারা কর্তৃপক্ষ এবারই প্রথমবারের মতো কয়েদিদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। আলাদা একটি প্যাভিলিয়নে জেলখানার পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সেখানে পুঁতি, তাঁত, পাট, বাঁশ, কাঠের তৈরি পণ্যের পাশাপাশি রয়েছে সচিত্র খাদ্যসামগ্রী। কারাগারের কয়েদিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে পণ্য উপাদনে যুক্ত করা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য, কয়েদিরা কারাগার থেকে মুক্ত হলেও যেন কাজের মধ্যে যুক্ত থাকতে পারে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে। কারাগারে তৈরি পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য বাণিজ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়েছে। এক দরে মানসম্মত পণ্য পেয়ে মেলায় আসা ক্রেতারাও আগ্রহের সঙ্গে কিনছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়