করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে তৈরি হওয়া সংকটে টিকে থাকতে সরকার গ্রাহকের ঋণের সুদে ভর্তুকি দেওয়ার মাধ্যমে যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতে বড় শিল্প ঋণ নিতে ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে। তারা ঋণও পাচ্ছে বেশ। তবে ছোট ও মাঝারি শিল্পের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোট উদ্যোক্তাদের অনেকে ব্যাংকে গিয়ে ঋণ পাচ্ছে না। আবার একটি অংশ প্রণোদনার ঋণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানে না। কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে গেছে। এসব কারণে ছোট আকারের ঋণ বিতরণ হচ্ছে খুব কম। কুটির, অত্যন্ত ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারিশিল্প (সিএমএসএমই) খাতের জন্য ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকা থেকে গত অক্টোবর পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে মাত্র ৬ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। কৃষক ও নিম্নআয়ের পেশাজীবীদের তহবিল থেকে বিতরণেও তেমন অগ্রগতি নেই। অন্যদিকে চাহিদা বেশি থাকায় বড় শিল্পের জন্য ঘোষিত তহবিলের আকার এরই মধ্যে দু'দফা ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে বিরূপ পরিস্থিতিতে কোনো প্রতিষ্ঠান যেন বন্ধ না হয়, সে লক্ষ্যে গত এপ্রিলে এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে বিভিন্ন খাতে ঋণ হিসেবে ৯২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বিতরণের ঘোষণা আসে। গত আগস্টের মধ্যে পুরো ঋণ বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহকরা এখান থেকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। ৯ শতাংশ সুদ ধরে বাকি অর্থ সরকার ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দেবে। আর ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণের পর বড় অংশই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুনঃঅর্থায়ন পাবে। ঋণ বিতরণ পরিস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় তিন দফায় সময় বাড়িয়ে সিএমএসএমই খাতের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়