বরিশালের ঘটনায় উভয় কূলই রক্ষা করতে চায় সরকার। সমঝোতার মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনতে চায়। এক্ষেত্রে কৌশলী পথে হাঁটছে ক্ষমতাসীনরা। চটজলদি আমলাদের বিরুদ্ধে যেমন কোনো অ্যাকশনে যাবে না, তেমনি দলের ক্ষতি হোক এমন কোনো ব্যবস্থাও নেবে না তারা। আপাতত ঘটনার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ ব্যক্তি জানিয়েছেন, আমলাদের নাখোশ করতে বা চটাতে চায় না সরকার। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে আমলাদের হাতে রাখতে চায়। অন্যদিকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হোক, দলের কোনো ক্ষতি হোক তাও কাম্য নয়। জনপ্রতিনিধি ও আমলাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে স্বাভাবিক সম্পর্ক বহাল রাখতে জোর তৎপরতা চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, জনপ্রতিনিধি বনাম আমলাতন্ত্র এখন অনেকটাই মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন ঘটনায় অনেকবারই তা দৃশ্যমান হয়েছে। সর্বশেষ দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের সাইডলাইনে রেখে আমলাদের দায়িত্ব দেয়া হয়। এ নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে। সরকারের আসকারা পেয়ে আমলারাও অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তাদের কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিদের অবজ্ঞা বা এড়িয়ে চলার নীতি বেছে নেন। ফলে সারাদেশেই জনপ্রতিনিধি-আমলা দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়ে উঠে। যার চূড়ান্ত বিস্ফোরণ ঘটেছে বরিশালে। এবার টনক নড়েছে সরকারেরও।
সূত্র মতে, আমলাতন্ত্র ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্বে বিব্রত সরকার। প্রায়ই বিব্রতকর ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য দুই কূল রক্ষা করেই সমঝোতার দিকে ঝুঁকছে সরকার। আমলা-জনপ্রতিনিধিদের দ্বন্দ্বের লাগাম টেনে ধরতে দুই পক্ষকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়