জরিপ ছাড়াই গুলশানে এআই ট্রাফিক কন্ট্রোল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় যানজট নিরসনে ১৭টি ট্রাফিক ইন্টারসেকশনে বসানো হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) সিগন্যাল ব্যবস্থা। শুরুতে পরীক্ষামূলক হিসেবে গুলশান-২ ইন্টারসেকশনে বসানো হয়েছে এই প্রযুক্তি। ট্রায়ালের জন্য এআই ট্রাফিক কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপন করতে গত ৭ আগস্ট টেন্ডার আহ্বান করেছিল ডিএনসিসি। কিন্তু টেন্ডার যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদার ঠিক করার আগেই ডিএনসিসি যন্ত্রপাতি কিনে সেগুলো গুলশান-২ ট্রাফিক ইন্টারসেকশনে বসিয়ে ফেলেছে।

এ যন্ত্রপাতি দিয়ে কাজ শুরুর এক মাস পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে এরই মধ্যে ট্রাফিক সিগন্যাল টাইমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পটি নেওয়ার আগে গুলশান বা ডিএনসিসি এলাকার ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে কোনো ধরনের জরিপ না করায় এ প্রযুক্তি কতটুকু কার্যকর হবে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। কারণ, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) ৫৮ কোটি টাকার একই ধরনের একটি প্রকল্প এ বছরই বন্ধ করে দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

ডিএনসিসির সিইও সেলিম রেজা সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ট্রাফিক ডিজিটালাইজেশন ব্যবস্থায় এআইভিত্তিক সড়কে গাড়ির দৈর্ঘ্য দেখে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সময় গণনা করে ম্যানেজ করা হবে। কোনো গাড়ি নিয়ম ভাঙলে ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলা দিয়ে দেবে। সিটি করপোরেশন ও ট্রাফিক বিভাগের সার্বক্ষণিক একটি টিম এ কাজ তদারকি করবে। আমরা ডিএনসিসির ১৭টি পয়েন্টে ক্যামেরা বসাব। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশন কমান্ড সেন্টার রুম তৈরি করে ফেলেছে। মূল সার্ভার রুমও প্রস্তুত। গুলশান-২ নম্বরে ক্যামেরা স্থাপন করে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন অপেক্ষা করছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় যে কমিটি করা হয়েছে, তারা রূপরেখা দিলে এর ভিত্তিতে কাজ শেষ করার। 

টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষের আগেই মালপত্র ক্রয় বিষয়ে ডিএনসিসি সিইও বলেন, ‘টেন্ডারের আগে মালপত্র ক্রয়ের সুযোগ নেই। পাইলট প্রোগ্রাম শেষে আরও ১৭টি পয়েন্টে এই প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। বর্তমান কন্ট্রোল রুমের মালপত্র ক্রয় ও স্থাপনের বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ভালো বলতে পারবেন। যানজট নিয়ে বুয়েট ও অন্যান্য সংস্থার জরিপগুলো আমরা দেখেছি।’

ট্রাফিক পুলিশের গুলশান বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, যানজট নিরসনে শুধু একটা জায়গায় আধুনিক প্রযুক্তি পরীক্ষা করে কিছু বোঝা যাবে না। গুলশান বিভাগে অনেকগুলো চার রাস্তার মোড় আছে। এ ছাড়া মূল সড়কে এসে মিশেছে অনেকগুলো গলি। যানজট নিরসনে এসব ট্রাফিক ইন্টারসেকশনের সঙ্গে সমন্বয় করে গাড়ি ছাড়ার সময় নির্ধারণ করতে হবে। শুধু একটি জায়গায় আধুনিক ক্যামেরা স্থাপনে ফল পাওয়া যাবে না। প্রকল্পটি নিতে হলে জরিপের মাধ্যমে একটি পুরো অঞ্চলের যানজটের গতিবিধি বের করতে হবে। যদিও এরই মধ্যে গুলশান-২-এর ট্রাফিক টাইমার প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হয়ে গেছে।  
এই বিভাগের আরও খবর
ভোটার ছাড়া ভোট চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো: ইসি রাশেদা

ভোটার ছাড়া ভোট চুন ছাড়া পান খাওয়ার মতো: ইসি রাশেদা

জাগোনিউজ২৪
দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী

জনকণ্ঠ
চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস

নয়া দিগন্ত
তিন বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল: জিএম কাদের

তিন বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল: জিএম কাদের

মানবজমিন
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

ভোরের কাগজ
তাপমাত্রা নিয়ে যে ভয়াবহ দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

তাপমাত্রা নিয়ে যে ভয়াবহ দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

জনকণ্ঠ
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়