জাবরার নাম যে জবর আলী, সেটা বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছে। যদ্দূর মনে পড়ে, প্রায় ওর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ অনিয়মিত হবার পরই সেই বোধোদয় ঘটেছে। আমার ধারণা, ওর নিজেরও বুঝতে বেশ সময় লেগেছে। হতে পারে পৌরসভার রিকশা লাইসেন্স করবার আগে ওর নিজেরও অবিশ্বাস ছিল যে, ওর নাম জবর আলী। হতেও পারে। জাবরা দিয়ে ওর কাজ চলে যাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের কিছুতেই চলত না। আমাদের মানে প্রাইমারি স্কুলে ওর সহপাঠীদের কয়েকজনের। এই গুটিকতক আমাদের মধ্যে দারুণ যে মিলটা ছিল তা হচ্ছে, আমাদের সকলের বাবাই সরকারি চাকরি করত। আর পার্থক্য, বেজায় পার্থক্য ছিল ঠাটবাঁটে, তবুও মিলটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
কাজ চলে যেত আমাদের অন্য সহপাঠীদেরও। তাদেরও বিশেষ সমস্যা হতে দেখিনি। যাদের সমস্যা হতো না তাদের মধ্যেও ভালো একটা মিল। সবাই কামলা-মজুরের ছেলে কিংবা মেয়ে। জবর আলী জাবরা হয়ে ছিল বলে ওদের কারোরই কখনও মনে হতো না যে, ও লুকিয়ে আছে। লুকিয়ে থাকার পাত্রও সে নয়। কোনোভাবেই। সন্ধ্যাবেলায় যেদিন লুকোচুরি খেলতাম, আমরা বলতাম টুকি খেলা, সেই হয়ে আসা অন্ধকারে সবচেয়ে প্রথম জাবরাকে দেখা যাবেই। খানিকটা ওর প্রগলভতার কারণে। আর বাকিটা ওর গায়ের রঙের কারণে। একেবারেই ধলা। ওর মায়ের রং পেয়েছে। ওর মা বেশি ধলা নাকি আমার মা, তা নিয়ে ও তেমন ভুগত না। কিন্তু আমি ভুগতাম, অন্তত বেশ কিছুদিন। আর বাবরাও বোধহয় ভুগত, না ভুগলেও এই সত্যটার সহজ মীমাংসা চাইত। বাবরা হচ্ছে জাবরার ছোটভাই, আলতাবানু তার থেকেও ছোট। যা হোক!
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়