জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যের প্রতিবাদে রংপুর মহানগরীতে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় পার্টি। মিছিল শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ঘোষণা দিয়েছেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে সরকার পতনের আন্দোলনে যাবে তার দল। সেক্ষেত্রে রংপুরের রাজপথ জাতীয় পার্টির দখলে রাখার ঘোষণাও দেন তিনি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহানগর ও জেলা জাতীয় পাটির আয়োজনে নগরীর সেন্ট্রাল রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সিটি মেয়র। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়কে উঠলে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জাপা নেতাকর্মীদের সাথে এ সময় সাধারণ নগরবাসীও মিছিলে অংশ নেন।
পরে তারা পায়রা চত্বরে সমাবেশ করেন। এ সময় সিটি মেয়র ছাড়াও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা যুব সংহতি সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মহানগর যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক শান্তিকাদেরী প্রমুখ।
সমাবেশে জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিক্ষোভে নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের যে ঢল নেমেছিল। তাতে প্রমাণ হয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণ মানে না। এতে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের রক্তক্ষরণ হয়েছে। এই দাম বৃদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে আমাদের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। আমরা বিক্ষোভ করলাম। এরপরেও যদি সরকার তেলের দাম পরিবর্তন এবং নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না আসে তাহলে জাতীয় পার্টি হরতালসহ কঠোর আন্দোলনে যাবে।’
সমাবেশে মহানগর সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের চাষাবাদে বড় প্রভাব পড়েছে। এ কারণে চাল, আটা, শাকসবজিসহ সকল খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘সব কিছুতেই সরকার ব্যর্থ। যাতে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা না হয়, সেজন্য আগেই সরকারের সরে যাওয়া উচিৎ।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি গণমানুষের দল। তাই গণমানুষের উপর যখন কোনো খড়গ নেমে আসে, দুর্ভোগের কারণ হয়, তার প্রতিবাদে আমরা সবসময় মাঠে থাকি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যে বিক্ষোভ এবং সমাবেশ আমরা করলাম, তাতে আপনারা দেখলেন হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। পথঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। লুঙ্গি পরা মানুষও মিছিলে এসেছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় এই সরকারের প্রতি মানুষের আর কোনো আস্থা নেই।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়