প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল বন্ধ এজন্য একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দেয়ার পর আমরা সব স্কুল-কলেজ খুলে দেব। এর আগে যখন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখনই সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারী এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ল, আর তার ধাক্কা এসে পড়ল আমাদের মাঝে। এখন তো শিশুদেরও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। লেখাপড়া শিখবে কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কিনা তা সংসদ উপনেতা একটু বিবেচনা করবেন। বলার জন্য বলতে পারেন, কিন্তু এটাও একটু চিন্তা করবেন ছেলেমেয়েদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন কিনা?
গতকাল চলতি একাদশ সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবির জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
নিজের নাতিরা ও ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে আমরা দেখেছি সবই অনলাইন। একটু খুলল আবার মহামারী ছড়িয়ে পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে সব বন্ধ। আবার ঘরে বসে কাটাচ্ছে। হ্যাঁ, তারা অপশনও দিচ্ছে। যারা ঘরে বসে পড়বে তারা পড়ছে। যারা চাচ্ছে স্কুলে যাচ্ছে। আবার যখন করোনা বেশি ছড়ায় সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করছে। শুধু বাংলাদেশ কেন এখন সারা বিশ্বে এ অবস্থা। সেটা সবাইকে ভাবতে হবে।
অধিবেশনে বর্তমান সরকারের সময় শিক্ষা খাতের উন্নয়নে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা সর্বস্তরে শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যাচ্ছি। বিনা পয়সায় বই দিচ্ছি। করোনাকালে স্কুল শুরু হবে এজন্য শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, জুতো, ব্যাগ কেনা ও স্কুল ফিডিংয়ের জন্য বাজেটে টাকা রেখেছি। স্কুল বন্ধ আছে কিন্তু পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়, সেজন্য সংসদ টিভি চালু আছে। আমরা রেডিও উন্মুক্ত করে দিয়েছি। রেডিওর মাধ্যমে পাঠ চলছে। যেভাবে সম্ভব পড়াশোনার কাজটি চালিয়ে রাখতে সক্ষম হচ্ছি।
সারা দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, আমরা লকডাউন ঘোষণা করেছি। আপনারা অন্তত নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত করেন, যেন করোনা আর বাড়তে না পারে। টিকা আসতে শুরু করেছে। কোনো অসুবিধা হবে না। সারা দেশে আমাদের মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা আমরা করব।
করোনা প্রতিরোধে অবশ্যপালনীয় হিসেবে স্বাস্থ্যবিধিগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো মানতে পারলেই এ রোগের বিস্তার আমরা রোধ করতে পারব। আমি দেশবাসীকে বলব আমরা লকডাউন ঘোষণা করেছি আপনারা অন্তত নির্দেশনাগুলো মেনে নিজেকে সুরক্ষিত রাখেন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত করেন।
দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, টিকা আসতে শুরু করেছে। কোনো অসুবিধা হবে না। মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করব।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ভারত থেকে করোনা টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু ভারতে করোনা বেড়ে যাওয়ায় তারা রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে কিছুদিন আমাদের সমস্যা হয়েছিল। এখন আর সমস্যা নেই। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা এসে গেছে, আরো আসবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়