দেশে মোবাইলফোন ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সেবা তথা টিভ্যাস-এর (টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেস) অনুমোদন আছে ১৮৩টি প্রতিষ্ঠানের। প্রতিষ্ঠানগুলো গাইডলাইন অনুসারে ৩০ শতাংশ নিজেদের মালিকানায় রেখে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিতে পারে। সম্প্রতি বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে একটি টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কিছু শর্তারোপ করে বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশীয় টিভ্যাস খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই অনুমোদন পেলে অনেক প্রতিষ্ঠান বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসবে। তখন তাদের একচেটিয়া দাপটে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো টিকতে পারবে না। আর শতভাগ বিদেশি বিনিয়োগ এলে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তো অস্তিত্বই হারাবে।
জানা যায়, টিভ্যাস প্রতিষ্ঠান স্টেলার ডিজিটাল লিমিটেড তাদের বৈদেশিক মালিকানা ৭০ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করতে এবং দেশি মালিকানা ১০ শতাংশ করার অনুমোদন চেয়ে বিটিআরসিতে আবেদন করলে কমিশন ভিন্ন পন্থা অবলম্বনে উদ্যোগী হয়। কমিশনের ২৫১তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিনিয়োগ বাড়াতে কোনও প্রতিষ্ঠান খ্যাতনামা কিনা সেটার মাপকাঠি নির্ধারণে পারফরমেন্স কেমন তা বিবেচনা করা যেতে পারে। টেলিযোগাযোগ খাতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম পরিচালনার অন্তত পাঁচ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাও বিবেচনায় আনা যেতে পারে।
এ ছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে কী পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সে সংক্রান্ত তথ্যও আমলে নেওয়া যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগে বিশেষ করে শুধু বিদেশি অংশ থেকে নগদ প্রবাহ কেমন হবে সেটাও পর্যালোচনা করা যেতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, টিভ্যাস নিবন্ধনের গাইডলাইন অনুযায়ী ৭০ শতাংশ বিনিয়োগ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এবং ৩০ শতাংশ দেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে থাকতে পারবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগোযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, টিভ্যাস কোম্পানিগুলো চাইলে শতভাগ বিনিয়োগও নিতে পারে। বিদেশি বিনিয়োগে এখন ‘লিমিট’ নেই। বিনিয়োগ সুবিধায় এর উল্লেখ রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু টিভ্যাস নয়, টেলিযোগাযোগের যেকোনও খাতে শতভাগ বিনিয়োগ নেওয়া যেতে পারে। আমাদের এখন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা দরকার। এ নিয়ে ভয়ের কারণ দেখি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টিভ্যাস উদ্যোক্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানালেন, ‘বড় বড় টিভ্যাস প্রতিষ্ঠান বসে আছে এই অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদন পেলে এ দেশে নেটফ্লিক্স, হইচই, জি-ফাইভ, আমাজন প্রাইম সরাসরি অফিস খুলে ব্যবসা শুরু করবে। বিনিয়োগ নীতিমালার কারণে তাদের এ দেশীয় কোনও উদ্যোক্তার প্রয়োজন হবে না। এমনটা হলে দেশীয় ছোট উদ্যোক্তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়