গত বছরটা স্বপ্নের মতো গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের। যার আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সের সঙ্গে ছিল অদম্য মনোবল। ফুসফুসের সংক্রমণ থাকায় দু’ দিন ছিলেন আইসিইউতে। তার পরেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাকে ব্যাট হাতে নামতে দেখা গেছে। সবমিলে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে রিজওয়ানের চেয়ে এভাবে দাপট দেখায়নি কেউ। যার স্বীকৃতিও দিয়ে দিলো আইসিসি। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের খেতাব পেয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার।
সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পুরো বছর জুড়েই আলোচনায় ছিলেন রিজওয়ান। ২৯ ম্যাচে করেছেন ১ হাজার ৩২৬ রান, গড় ৭৩.৬৬। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৪.৮৯। ব্যাট হাতে বিস্ফোরক ভূমিকার পাশাপাশি গ্লাভস হাতেও ছিলেন নির্ভরতার প্রতীক। ডিসমিসাল ছিল ২৪টি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে সেমিতে তুলতে তার ছিল বিশাল ভূমিকা। টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটিও আসে গত বছর। লাহোরে বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছেন ওই ইনিংস।
আইসিসির কাছে তার সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় ইনিংসটি ছিল ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ১৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রা কাগজে-কলমে সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলে ছিল জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সামির মতো আগ্রাসী পেসার। তাই এমন আক্রমণের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা সহজসাধ্য ছিল না। রিজওয়ান সেই কাজটি করেছেন অদম্য মনোবলে ৫৫ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। এই বিধ্বংসী ইনিংসে ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। যা বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম কোনও জয়ের দৃষ্টান্ত।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়