নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মামলা কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে দেশের আদালত, বিচার বিভাগ, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টা চলছে। সাবজুডিস বিষয়ে আমি কথা বলি না। তবে দেশের মর্যাদার প্রশ্নে আজ তা করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘দেশকে হেয় করার জন্য ও ব্যক্তিস্বার্থে ষড়যন্ত্র চলছে, যা করা হচ্ছে তা দেশকে পরাজিত করানোর জন্য। যারা বিদেশ থেকে বিচারকাজ দেখতে আসতে চায়, তাদের তো আরও আগে আসা উচিত ছিল। এখন দেখার কিছু নেই। তার পরও আপিল বিভাগে এখন যে কার্যক্রম চলবে তা যে কেউ দেখতে পারেন।’
বিশ্বজুড়ে অনেকে বিবৃতি দিয়েছেন। তাদের বক্তব্যের পর সবাই সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চায়, তাই এই সংবাদ সম্মেলন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বলা হচ্ছে— সরকার হয়রানি করছে ও শ্রমিকরা মামলা করেনি। অথচ ২০১৭ সাল থেকে শ্রমিকরা বলে আসছে অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে ও ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্র্য দেওয়া হচ্ছে না। শ্রমিকদের মামলা ও আশ্বাসের পরও ন্যায্যপ্রাপ্তি না দেওয়ায় শ্রম অধিদপ্তর মামলা করেছিল। তাদের সব দেওয়ার আশ্বাসের পর মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়। মানে অপরাধ স্বীকৃত।
আনিসুল হক বলেন, সব পক্ষ স্বীকার করেছে যে শ্রমিকরা ন্যায্যপ্রাপ্য পাচ্ছিলেন না। যতবার সময় চেয়েছেন ড. ইউনূস সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ পেয়েছে দুপক্ষের আইনজীবী। সব ধারা বিশ্লেষণ করে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দেশ থেকে দূর হওয়া দরকার।
শ্রম আদালত ২২ হাজার পেন্ডিং মামলা রয়েছে, সেখানে এ মামলা এতো দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আইনের ব্যত্যয় করে কিছু করা হয়নি। সাধারণ মানুষ এসব মামলার ট্রায়াল দ্রুত দেখতে চায়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়