ঝড়ের গতিতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দিকে এগোচ্ছে তালেবান। ইতোমধ্যে ১৮টি প্রাদেশিক রাজধানী গোষ্ঠীটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার ও তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ এত সহজে তালেবান নিয়ে নিয়েছে সেটি বিশ্বাসই হচ্ছে না সেখানকার বাসিন্দাদের।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানায়।
আফগানিস্তানের এ দুই শহরে সপ্তাহখানে ধরে লড়াই চলছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার শহর দুটি দখলে নেওয়ার দাবি করে তালেবান। কিন্তু এত সহজে শহর দুটি দখলে নিতে পারবে গোষ্ঠীটি এটা বিশ্বাস করতে পারছেন না সেখানকার বাসিন্দারা।
কান্দাহারের এক নারী বাসিন্দা বলেন, তারা আক্ষরিক অর্থে আমাদের বিক্রি করে দিয়েছে। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিরোধের চেষ্টাই করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভাবতেই পারিনি, কান্দাহার এত সহজে তালেবান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেবে।’
তালেবানবিরোধী মিলিশিয়া গ্রুপ গণপ্রতিরোধ বাহিনীর হেরাত প্রদেশের এক স্থানীয় সমর্থকের কাছেও বিষয়টি আশ্চর্যজনক ঠেকেছে।
ওই সমর্থক বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে, এসব জায়গা হস্তান্তর করা হচ্ছে।পরবর্তীতে কাবুল ও মাজার-ই-শরীফের একই পরিণতি হবে।
তালেবান ৬ জুলাই প্রথম কোনো প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নেয়। এর পর থেকে ঝড়ের গতিতে এগিয়েছে গোষ্ঠীটি। যদিও এখন পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বা সরকারের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা জনসম্মুখে বেদখল হয়ে যাওয়া প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে তালেবানের নিয়ন্ত্রণের স্বীকৃতি দেননি।
তবে সরকারি বাহিনী এবং তালেবানের তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে কান্দাহার এবং হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া গোষ্ঠীটির জন্য টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে।
হেরাতের এক সরকারি কর্মকর্তা যিনি বর্তমানে কাবুলে বসবাস করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, এটা কীভাবে ঘটল।’
শুক্রবার সকালে হেরাতের এক বাসিন্দা বলেন, তালেবান যোদ্ধাদের দেখার জন্য মানুষ রাস্তায় বের হয়েছেন।
অনলাইনে ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ তালেবানের যোদ্ধাদের এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় করেছে, যা তারা ২০ বছরের মধ্যে দেখেননি।
কান্দাহারের এক যুবক বলেন, শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবানের যোদ্ধাদের উদযাপনের মেজাজে দেখা গেছে। বিজয়ের সংকেত হিসেবে তাদের আকাশে গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার কান্দাহার ও হেরাতের দখল নেয় তালেবান।
এদিকে তালেবানের এক মুখপাত্রের বরাতে আলজাজিরা জানায়, তালেবান আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের দখলে নিয়েছে।
তালেবানের ওই মুখপাত্র বলেন, কান্দাহার সম্পূর্ণভাবে জয় করা হয়েছে। আমাদের যোদ্ধারা শহরের শহীদ চত্বরে পৌঁছেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, তালেবান কান্দাহারের গভর্নর অফিসসহ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। গভর্নর এবং অন্য সরকারি কর্মকর্তারা পালিয়েছেন।
এর আগে কান্দাহারের কেন্দ্রীয় জেল ভেঙে ‘শত শত’ বন্দিকে ছেড়ে দিয়েছিল তালেবান।
অপরদিকে হেরাতের স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিকের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়