কর্মক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে তারা অবিরাম কর্মবিরতিসহ বড় ধরনের অন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাদের প্রধান দাবি- দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) ধারা বাতিল করতে হবে। এটিকে তারা কালো আইন বলে অভিহিত করেছেন।
জানা গেছে, আন্দোলনকে নিয়মতান্ত্রিক, সুসংগঠিত করতে দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গঠন করেছেন 'দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন' (ডিএসএ)। শিগগিরই তারা সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কাঠামো গঠন করবেন। ৫৪(২) ধারা বাতিলের সমর্থনে এরই মধ্যে তারা চার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান এখনও চলছে।
দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা সমকালকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে অযৌক্তিকভাবে, বিনা কারণে ৫৪(২) ধারা প্রয়োগ করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। এতে কমিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কখন কে কমিশনের রোষানলের শিকার হন- এই আতঙ্কে কাজের পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে। অবিলম্বে ধারাটি বাতিল করে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা উচিত।
কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং ৫৪(২) ধারা বাতিলের দাবিতে গত রোববার দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে দুদক সচিবের মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিনা নোটিশে দুদকের পটুয়াখালী অফিসের উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের প্রতিবাদে পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের বিভিন্ন কার্যালয়ে মানববন্ধন করা হয়। এতে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, একটি বিশেষ মহলের চাপে শরীফ উদ্দিনকে নূ্যনতম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ ঘটনায় কমিশনের সারাদেশের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাকরি না থাকার আতঙ্ক ও নানা অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই আতঙ্ক, অস্থিরতা দূর না হওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।
জানা গেছে, দুদক সার্ভিস অ্যসোসিয়েশন সুসংগঠিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শতাধিক কর্মকর্তা রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। শিগগিরই তারা টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
একজন কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে একাধিক সংস্থা থেকে তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানানো হয়েছে। তারা বলেছেন, দুদকে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ওই কালো আইন বাতিলে কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
রোববার দুদক চেয়ারম্যানের কাছে দেওয়া দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনে বলা হয়, তারা কমিশনের কর্মচারী হিসেবে কমিশন কর্তৃক অর্পিত কাজ যথাযথভাবে সম্পাদনে বদ্ধপরিকর। তাদের পেশাগত দক্ষতার কারণেই কমিশনের প্রায় ৭০ শতাংশ মামলায় কমিশনের পক্ষে রায় হচ্ছে। এরই মধ্যে উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে বিনা নোটিশে দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) ধারায় অপসারণ করায় সবাই চাকরির ক্ষেত্রে মহা অনিশ্চয়তা ও ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে আছেন।
আবেদনে বলা হয়, কোনো কর্মচারী অপরাধ করলে দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো দুদক কর্মচারী বিধিমালা ২০০৮-এর ৩৮-৪৯ বিধিতে উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী চাকরি থেকে অপসারণের সুযোগ রয়েছে। এরপরও বিতর্কিত বিধি ৫৪(২) বিধি প্রয়োগ করায় অন্যান্য কর্মচারীর মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়