ব্যাংকে ফিরছে না বিনিয়োগকৃত অর্থ। এতে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে অনুৎপাদনশীল সম্পদ। এক বছর ধরে নতুন বিনিয়োগও প্রায় বন্ধ, যার প্রভাবে স্ফীত হয়ে উঠছে ব্যাংকের অলস তারল্যের আকারও। এমন পরিস্থিতিতে পোর্টফোলিও বড় হলেও দুর্বল হচ্ছে ব্যাংকের ভিত।
মহামারীর আঘাতের আগেই দেশের ব্যাংক খাতের বিতরণকৃত ঋণের এক-চতুর্থাংশ ছিল দুর্দশাগ্রস্ত (স্ট্রেসড)। চলতি বছরজুড়ে চলছে ঋণ পরিশোধে শিথিলতা। খেলাপি হওয়ার পথ বন্ধ থাকায় গ্রাহকরাও অনেকটা নির্ভার। পরিস্থিতি যা তাতে ঋণ পরিশোধে বাধ্যবাধকতার ওপর দেয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়তে পারে আরো ছয় মাস। সব মিলিয়ে আগামী বছর ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে ব্যাংকারদের।
দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে ঋণ আদায়ের যে চিত্র পাওয়া গেছে, তা হতাশাই বাড়াচ্ছে। ব্যাংকাররা বলছেন, মহামারীর আগেই ব্যাংক খাতের প্রায় ২৫ শতাংশ ঋণ দুর্দশাগ্রস্ত ছিল। খেলাপি হওয়ার পথ বন্ধ থাকায় ভালো ব্যবসা করছেন, এমন গ্রাহকরাও ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধ বন্ধ রেখেছেন।
শ্রেণীকৃত ঋণের মেয়াদ গণনা শুরু হলে খেলাপি হওয়া থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে ঢালাওভাবে পুনঃতফসিল করতে হবে। ফলে আগামী বছর দেশের ব্যাংক খাতের দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের হার ৪০ শতাংশও ছাড়িয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগ বন্ধ থাকায় বাড়বে অলস তারল্য। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষেই অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। দুর্দশাগ্রস্ত এ ঋণের পাশাপাশি সীমাতিরিক্ত অলস তারল্যও ব্যাংক খাতের বিপদ বাড়াবে। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দিতে না পারলে দেশের ব্যাংক খাতের জন্য তা সংকট তৈরি করবে বলে মনে করছেন তারা।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়