দ্রব্যমূল্যের চড়া দাম মানুষের মনে হাহাকার। লাগামহীন ভোজ্যতেলের পাশাপাশি মাছ, মাংস, সবজি, পেঁয়াজ সব কিছুরই চড়া দামে মানুষের মনে হাহাকার বিরাজ করছে।
মধ্যবিত্ত,নিম্নবিত্তরা বলছেন কাঁচা পেঁপে কিনতে গেলেও ৩০থেকে ৪০ টাকা লাগছে। অন্যান্য জিনিস পত্রের দাম নাই বললাম। কোথায় কার কাছে এর প্রতিকার চাইবে,কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না তারা। সাধারণ মানুষের মনে দ্রব্যমূল্য চড়া দামের কারণে অসন্তোষ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা এসব কথা বলেন।
গৃহবধূ সখিনা বলেন, স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর সিপাহীবাগ নবিনবাগ এলাকায় থাকেন। স্বামীর মাসিক আয় ১৬ হাজার টাকা। এরমধ্যে ছাপড়া ঘর ভাড়া দিতে হয় আট হাজার টাকা। বাকি টাকায় চাল-ডাল কিনবো নাকি সবজি কিনবো। মাছ-গোস্ত এখন স্বপ্নেও দেখি না।
রফিক পেশায় টেইলার মাস্টার। তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বংশাল কায়েৎটুলী এলাকায় এক রুম ভাড়া করে থাকেন। তিনি বলেন, গত দুই বছর যাবত বাজারে যাই না। একটু কম দামের আশায় রাস্তার ভ্যান থেকে সবজি কিনতাম। কিন্তু সেখানেও এখন চড়া দাম, কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না। মাসিক ইনকাম আগের তুলনায় এখন কম। পরিবার নিয়ে ঢাকা শহরে আর থাকা যাবে না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুই এক মাসের মধ্যেই পরিবারকে নিয়ে গ্রামে শরীয়তপুর এলাকায় চলে যাবো।
তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, আপনারাই বলেন কোন জিনিসের দাম বাড়ে নাই? দাম বাড়ার একটা লিমিট থাকে। এই দেশে কোনো লিমিট নাই। প্রতিদিন হু হু করে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এসব দেখার জন্য কি কেউ নাই?
কর্মজীবী নারী লিমা আক্তার বলেন, আজ সবজি দিয়ে ভাত খেলে আগামীকালের কথা চিন্তা করতে হয়। কোথায় পাব আগামীকালের বাজারের টাকা। প্রতিদিনই বাড়ছে সব জিনিসপত্রের দাম। যা ইনকাম করি সেটা দিয়ে ১০ থেকে ১২ দিনও চলা যায় না এই বর্তমান সময়ে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়