করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে দ্রুত সচল হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রেও। এ বছর নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে (চীন বাদে) প্রবাসী আয় বাড়তে চলেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হারে, যা আগের অনুমানগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। অথচ মাত্র এক বছর আগেই করোনার আঘাতে রেমিট্যান্স প্রবাহ নেমে গিয়েছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশতে। সেই পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে শুরু করেছে।
গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর (চীন বাদে) সম্মিলিত প্রবাসী আয় ৫৮ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। টানা দ্বিতীয় বছর দেশগুলোতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ও বিদেশি উন্নয়ন সহযোগিতার (ওডিএ) চেয়ে প্রবাসী আয় বেশি হতে চলেছে।
প্রয়োজনের সময় অভিবাসীদের পরিবারকে বাড়তি সহায়তা দেওয়ার তাগিদ রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে। রয়েছে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল আর্থিক প্রণোদনা এবং তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে রাশিয়া-উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক গতিশীলতার প্রভাবও।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এ বছর বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলেই প্রবাসী আয় বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে, প্রায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ। এরপর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ায় আট শতাংশ, সাব-সাহারান আফ্রিকায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। এমনকি চীনকে বাদ দিয়ে পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রবাসী আয়ও বাড়ছে ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
তবে ২০২১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ বেশ চড়া লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্বব্যাংকের রেমিট্যান্স প্রাইস ডেটাবেজ অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বজুড়ে রেমিট্যান্স খরচ ছিল গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) নির্ধারিত তিন শতাংশের দ্বিগুণেরও বেশি।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মধ্যে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ সবচেয়ে বেশি সাব-সাহারান অঞ্চলে। সেখানে ২০০ ডলার পাঠাতে গেলে আট শতাংশ অর্থাৎ ১৬ ডলার খরচ করতে হয়। বিপরীতে, রেমিট্যান্স খরচ সবচেয়ে কম দক্ষিণ এশিয়ায়। এ অঞ্চলের দেশগুলোতে রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ গড়ে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় ১৫ হাজার ৯০০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় ঢুকতে পারে। এর মধ্যে ভারতের আয় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৮ হাজার ৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছাতে পারে। একই সময় পাকিস্তানের প্রবাসী আয় বাড়তে পারে রেকর্ড ২৬ শতাংশ। এ বছর দেশটি ৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়