পিকনিকের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় শিশুটি। রান্না শেষে সবাই গোসেলের জন্য বাড়িতে চলে যায়। সাত বছরের ওই শিশু যায় প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে তার বাড়িতে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে ওই কিশোর। শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে অভিযুক্ত কিশোর তার শ্বাসরোধ করে এবং হাসুয়া দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করে। পরে তার লাশ বাড়ির টয়লেটের ট্যাঙ্কিতে ফেলে রাখে। চারদিন পর লাশ থেকে গন্ধ ছড়ালে ওই কিশোর এবং তার বাবা লাশটি দূরে ধানক্ষেতে ফেলে আসে।
নাটোরের লালপুরে এমন ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার (২৩ অক্টোবর) অভিযুক্ত কিশোর (১৫) এবং তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণ, হত্যা এবং লাশ গুমের চেষ্টার কথা স্বীকার করে তারা। রবিবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য জানান।
নিহত শিশু নুসরাত জাহান বাবলি লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর মধ্যপাড়া এলাকার বাবু হোসেনের মেয়ে। গত মঙ্গলবার সে নিখোঁজ হয়। চারদিন পর শনিবার একটি ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে নিখোঁজের পরদিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বাবু হোসেন।
এসপি লিটন কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় তদন্তের জন্য পুলিশের চারটি টিম গঠন করা হয়। তারা নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত চালিয়ে স্বল্প সময়ে মধ্যে অভিযুক্তদের আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়