নদ-নদী ও দখলদারদের তালিকা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

দেশের সব নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিভাগওয়ারি দখলদারদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এছাড়া নদী দখলমুক্ত করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

গতকাল বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও কামরুল হোসেন মোল্লার দ্বৈত বেঞ্চে দেশের সব নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা, তুরাগ নদের প্রকৃত সীমানা নির্ধারণ, নদীর সঠিক তালিকা ও অন্যান্য নির্দেশনা চেয়ে করা এক রিটের শুনানি আদেশে এসব নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), অর্থ সচিব, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও নদী রক্ষা কমিশন এবং সব জেলা প্রশাসককে এ তালিকা করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। আদালতে  রিটের পক্ষে শুনানি করেন বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট হাসানুল বান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, রিটে যুক্ত করা তথ্যে বলা হয়েছে, নদীর সংখ্যা নিয়ে একেকটি পক্ষের একেক হিসাব রয়েছে। নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী নদীর সংখ্যা ৭৭০-এর বেশি। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট নদী রয়েছে ৪৯৬টি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের নদ-নদী’ শীর্ষক প্রকাশনায় ৪০৫টি নদীর পরিচয় পাওয়া যায়। তবে ম. ইনামুল হক তার নিজস্ব গবেষণায় ১ হাজার ১৮২টি নদীর তালিকা প্রস্তুত করেছেন। নদীর সংখ্যা সঠিক না হওয়ায় দখলদারের সংখ্যাও সঠিকভাবে চিহ্নিত সম্ভব নয়। ফলে নদী রক্ষা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী দখলদারের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৩৯০ হলেও সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী এ সংখ্যা আরো বেশি। সম্প্রতি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী সারা দেশে ৬৫ হাজার ১২৭ জন দখলদার আছে বলে সংসদে জানান।

সম্প্রতি দেশের নদী-নালা ও খাল-বিলের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় চেয়ে একটি প্রস্তাব নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে জমা দিয়েছে নদী রক্ষা কমিশন। কমিশন বলছে, পৃথক মন্ত্রণালয় হলে এসব নদ-নদীর সঠিকভাবে দেখভাল করা সম্ভব হবে। নদী ও জলাভূমিবিষয়ক একক মন্ত্রণালয় গঠন করা হলে দেশের নদী ও জলাভূমিগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ এবং এতদ্বিষয়ক যাবতীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা ও সুষ্ঠু সমন্বয়ে গতিসঞ্চার হবে বলে প্রস্তাবনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রস্তাবনায় নদী ও জলাভূমিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের সব নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে এবং নাব্যতা পুনরুদ্ধারে ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারবে বলে জানানো হয়।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এক মামলার রায়ে দেশের সব নদ-নদী রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলেন হাইকোর্ট। তুরাগ নদকে ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে উল্লেখ করে দেয়া এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ প্রতিলিপি প্রকাশ করা হয় একই বছরের জুলাইয়ে। ২৮৩ পৃষ্ঠার এই রায়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে তুরাগসহ দেশের সব নদ-নদীর অভিভাবক বলা হয়েছে। নদীদূষণ ও দখলমুক্ত করতে হাইকোর্টের ওই রায়ে ১৭টি নির্দেশনা দেয়া হয়। রায়ে বলা হয়, এ নির্দেশনা সব সময়ের জন্য বলবৎ থাকবে। দেশের কোথাও এ নির্দেশনার অবমাননা হলে যে কেউ কোর্টে এসে মামলা করতে পারবেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ডিবির সংবাদ সম্মেলন ‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

ডিবির সংবাদ সম্মেলন ‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

দৈনিক ইত্তেফাক
এখনও আগুন জ্বলছে সুন্দরবনে, তদন্ত কমিটি গঠিত

এখনও আগুন জ্বলছে সুন্দরবনে, তদন্ত কমিটি গঠিত

বণিক বার্তা
মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ডিবি

বাংলা ট্রিবিউন
ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ

ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ

নয়া দিগন্ত
তুলে নিয়ে কিশোরীকে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণ

তুলে নিয়ে কিশোরীকে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণ

যুগান্তর
আগামী সপ্তাহে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

আগামী সপ্তাহে সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

বণিক বার্তা
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়