নিউজিল্যান্ডে বিধ্বস্ত ভারত আফগানিস্তানের দ্বিতীয় জয়

চলতি আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারল অন্যতম ফেভারিট ভারত। দুবাইয়ে গতকাল অনবদ্য বোলিং প্রদর্শনীতে বিরাট কোহলির দলকে বিধ্বস্ত করে নিউজিল্যান্ড। তারকাখচিত ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ সাকল্যে ১১০ তুলতে সমর্থ হয়। এরপর ড্যারিল মিচেলের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি নিউজিল্যান্ডকে এনে দেয় ৮ উইকেটের আয়েশি সহজ জয়। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারের লজ্জাবরণ করেন কোহলিরা।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত কিউইদের ভয়ংকর গতি বলের মোকাবেলায় শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। ২০ রানে তিন উইকেট শিকার করে ভারতবধে নেতৃত্ব দেন বিশ্বের অন্যতম সেরা গতি বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া অভিজ্ঞ টিম সাউদি ও অ্যাডাম মিলনেও গতির ঝড় তুলে একটি করে উইকেট নেন। বাদ যাননি স্পিনার ইস সোধি, তিনি ১৭ রানের খরচায় নেন দুটি উইকেট।

শনিবার অনুশীলনের পর বোল্ট বলছিলেন, ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদির সুইং ও গতিময় বল তিনি দেখেছেন এবং একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে তিনি সফল হতে চান। বোল্ট তার এ কৌশলে শতভাগ সফল হলেন। দলীয় ১১ রানের মাথায় ইষাণ কিষাণকে শিকার করে বোল্টের ধ্বংসযজ্ঞের শুরু। এরপর ডেঞ্জারম্যান হার্দিক পান্ডিয়া ও শার্দুল ঠাকুরের উইকেটও তুলে নেন এ বামহাতি বোলার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিন রবীন্দ্র জাদেজার ১৯ বলে ২৬ রানই ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

ব্যাটিং শক্তিধর নিউজিল্যান্ডের জন্য ১১১ রানের টার্গেটটা কোনোভাবেই কঠিন হওয়ার কথা নয় এবং নির্বিঘ্নেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে তাসমান সাগরপাড়ের ক্রিকেটাররা। রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেন মার্টিন গাপটিল। ওপেনিং জুটিতে মিচেলকে নিয়ে তোলা ২৪ রানের মধ্যে ২০ রানই আসে তার ব্যাট থেকে। যদিও গাপটিল ঝলকটা দীর্ঘ হলো না। ১৭ বলে ২০ রান করে তিনি জসপ্রিত বুমরাহর শিকারে পরিণত হন। তার বিদায়ের পর কিউইদের রানের চাকা শ্লথ হয়ে পড়েনি। এরপর মিচেল আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেন। দলের যখন ৪৫ বলে মাত্র ১৫ রান লাগে, তখন তিনি বুমরাহকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং-অনে ধরা পড়েন লোকেশ রাহুলের হাতে। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলে কিউইদের জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান মিচেল।

এরপর ডেভন কনওয়েকে (২*) নিয়ে বাকি ১৫ রান তুলে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (৩১ বলে ৩৩*)। কিউইরা জিতেছে ৩৩ বল হাতে রেখে।

পাকিস্তানের কাছে হার নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা নিউজিল্যান্ডের এটা প্রথম জয়। এ জয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড, আর ভারতের কাজটা কঠিন হয়ে পড়ল। কোহলিদের এখন বাকি তিন ম্যাচই জিততে হবে।

এদিকে বিশ্বকাপে গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল আফগানিস্তান। স্কটল্যান্ডের পর এবার তারা হারাল নামিবিয়াকে। গতকাল আবুধাবিতে ৬২ রানের জয় তুলে নেয় মোহাম্মদ নবীর দল। দাপুটে এ জয়ে গ্রুপ-টুতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল আফগানিস্তান। টানা তিন জয়ে শীর্ষে পাকিস্তান। আফগানদের হারাতে পেরেছে শুধু পাকিস্তান।

টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয়া আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬০ রান তোলে। প্রতি ম্যাচের মতো কালও পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দারুণ সফলতা পায় আফগানরা। এ সময় তারা কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ রান তুলে নেয়।

যদিও এর পরের ৬ ওভারে নাটকীয়ভাবেই খুব বেশি রান তুলতে ব্যর্থ হয় দলটি। এ সময়টাতে বাউন্ডারি এসেছে মাত্র একটি। অবশ্য ২০ ওভার শেষে নামিবিয়াকে ১৬১ রানের বড় টার্গেট ছুড়ে দিতে সমর্থ হয় নবীর দল। মোহাম্মদ শাহজাদ ৩৩ বলে ৪৫, হজরতউল্লাহ জাজাই ২৭ বলে ৩৩, নবী ১৭ বলে ৩২ ও আসগর আফগান ২৩ বলে ৩১ রান করেন। নামিবিয়ার রুবেন ট্রাম্পেলম্যান ও ইয়ান নিকোল লোফটি-ইয়াটন দুটি করে উইকেট নেন।

ঘূর্ণি বোলার মুজিব উর রহমানকে এ ম্যাচে পায়নি আফগানিস্তান। তাই ১৬০ রান আফগানদের জন্য একেবারে সুরক্ষিত ছিল বলা যাবে না। এর পরও নবীন-উল-হকের বৈচিত্র্যময় বোলিং আর হামিদ হাসানের গতি নামিবিয়াকে কোনো সুযোগই দিল না। রান তাড়া করতে নেমে বিধ্বস্ত আফ্রিকার দেশটি। আগের দুই ম্যাচে আফগান স্পিনাররা অনবদ্য পারফর্ম করলেও কাল দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন পেসাররা। হামিদ হাসান (৩/৯) ও নবীন-উল-হক (৩/২৬) দুজনই নেন তিনটি করে উইকেট। এছাড়া সাবেক দলনায়ক গুলবাদিন নায়েব ১৯ রানে নেন দুটি উইকেট। তারকা স্পিনার রশিদ খান ৪ ওভারে ১৪ রানের খরচায় একটি উইকেট তুলে নেন। নামিবিয়ার পক্ষে ডেভিড উইজে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন ৩০ বলের মোকাবেলায়। ম্যাচসেরা হয়েছেন নবীন-উল-হক।

সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগানকে দারুণ এক বিদায়ী উপহার দিল আফগান সতীর্থরা। এটিই ছিল আফগানিস্তানের হয়ে তার শেষ ম্যাচ। জয় শেষে সতীর্থ গুলবাদিন নায়েব তাকে কাঁধে তুলে আনন্দ করেন। জয়টি আসগরকে উৎসর্গ করার কথা জানিয়ে ম্যাচসেরা নবীন-উল-হক বলেন, তার নেতৃত্বেই আমার অভিষেক ঘটেছে, কাজেই আমি তাকেই জয়টি উৎসর্গ করতে চাই। আমি মনে করি, আসগর আফগানিস্তানের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। আমরা তার অভাবটা অনুভব করব।
এই বিভাগের আরও খবর
আর্সেনাল, সিটির সঙ্কট ছাড়া পথ নেই লিভারপুলের

আর্সেনাল, সিটির সঙ্কট ছাড়া পথ নেই লিভারপুলের

কালের কণ্ঠ
৯৭ মিনিটে গোল, অপরাজিতই থাকলো লেভারকুসেন

৯৭ মিনিটে গোল, অপরাজিতই থাকলো লেভারকুসেন

ভোরের কাগজ
রিয়ালের কাছে হেরে যা বললেন বার্সা কোচ

রিয়ালের কাছে হেরে যা বললেন বার্সা কোচ

যুগান্তর
১০ জনের বার্সাকে হারিয়ে সেমিতে পিএসজি

১০ জনের বার্সাকে হারিয়ে সেমিতে পিএসজি

মানবজমিন
ড্রয়ে শেষ হলো লিভারপুল-ম্যানইউ ম্যাচ, শীর্ষেই থাকল আর্সেনাল

ড্রয়ে শেষ হলো লিভারপুল-ম্যানইউ ম্যাচ, শীর্ষেই থাকল আর্সেনাল

কালের কণ্ঠ
৪০ বছর পর কোপা দেল রে শিরোপা জিতলো অ্যাথলেটিক

৪০ বছর পর কোপা দেল রে শিরোপা জিতলো অ্যাথলেটিক

জাগোনিউজ২৪
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়