গাজীপুরে নিবন্ধন ছাড়াই পোশাক শ্রমিকরা করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা নিতে পারবেন। আজ চারটি গার্মেন্টসের ১০ হাজার শ্রমিককে টিকাদানের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। গতকাল গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. খায়রুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, সরকারি সিদ্ধান্তে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিকদের করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে। এজন্য কারখানাগুলো থেকে তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ২৫ লাখ শ্রমিকের তালিকা পাওয়া গেছে। তাদের নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেয়া হবে। রোববার তুষুকা ডেনিম, তুষুকা ট্রাউজার, স্পেরো অ্যাপারেলস ও রোজভ্যালি গার্মেন্টসের ১০ হাজার শ্রমিককে মডার্নার টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিককে টিকার আওতায় আনা হবে।
নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেয়ার বিষয়ে ডা. খায়রুজ্জামান আরো বলেন, শ্রমিকদের দ্রুত টিকার আওতায় আনতেই নিবন্ধন ছাড়াই টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে টিকা গ্রহণের সময় শ্রমিকদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সঙ্গে আনতে হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর এক চিঠিতে সম্মুখসারির অর্থনৈতিক যোদ্ধা হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত দেশী-বিদেশী কর্মীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কভিড-১৯ টিকা বরাদ্দ চেয়েছে শিল্পসংশ্লিষ্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)।
‘তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত অর্থনীতির সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কভিড-১৯ টিকা প্রদান’ শীর্ষক বিষয় উল্লেখ করে চিঠিতে বিজিএমইএ জানায়, কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের ফলে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী তৈরি পোশাক শিল্প এখন কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এ শিল্প খাতে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। এ শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীরাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানায় কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন কারখানায়ও আন্তর্জাতিক মানের অনেক ক্রেতার বিদেশী প্রতিনিধি বৈধভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রয়েছে। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি বিদেশীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কারখানা চালু রেখেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনীতির স্বার্থে এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের এবং বিদেশীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ মহাসচিব মো. ফয়জুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরো বলা হয়, গত ১৬ জুন বিজিএমইএ বোর্ডের নবনির্বাচিত সভাপতি ও পর্ষদ সদস্যরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ওই সময় টিকা সরবরাহ করা হবে মর্মে মন্ত্রী আশ্বাস দেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়, সরকার অনেক দেশ থেকে টিকা আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং এরই মধ্যে বেশকিছু টিকা আনা হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়