বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রতারক, মিথ্যাবাদী দল, অত্যাচারী দল। নির্বাচন কমিশন যেটাই হোক আমরা তাদের বিশ্বাস করি না। আমরা বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনের সময় সরকারে থাকে, তাহলে কোনো নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওরা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ওরা বলেছিল তারা একটি নির্বাচন দিবে দেয়নি। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে ময়মনসিংহ নতুন বাজার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের সঙ্গে ততবার বেইমানি করেছে।
আওয়ামী লীগ বলেছিল ক্ষমতায় আসলে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। বলেছিল বিনা পয়সা সার দিবে। কিন্তু দেয়নি। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, মিথ্যা বলে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসে জনগণকে লাথি মারছে। আওয়ামী লীগ বলেছিল এই দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কথা বলার অধিকার দেয়া হবে। আমরা যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই স্বপ্ন আজ ধুলিস্যাত হয়ে গেছে। আজ মানুষের কথা বলার অধিকার, ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণকে বন্দি করে ফেলেছে।
আজকের এই সভার আয়োজন করায় বিএনপির ২ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সভার আয়োজন করা আমার সাংবিধানিক অধিকার। আমি এ অধিকার যুদ্ধ করে পেয়েছি। জনগণ আমাকে সভা করার অধিকার দিয়েছে সংবিধান তৈরি করে। আওয়ামী লীগ কী করেছে এই সংবিধানকে লঙ্ঘন করে জনগণকে কৃতদাসে পরিণত করতে চাইছে। আজকে মানুষের মুখে হাসি নাই। চোখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করেন। গণমাধ্যম আছে অনেক কিন্তু তাদের লেখার ক্ষমতা নেই। ডিজিটাল আইন দিয়ে সরকার মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করেছে।
১৯৭১ সালে একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা পর এই দেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। যারা যুদ্ধ করেছিল তারা কথা বলতে পারবে, মানুষে মানুষে বিভেদ থাকবে না সুন্দর একটা সমাজ হবে। আজ সব মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
বর্তমান সরকারের মন্ত্রী এমপিরা দুর্নীতি করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন পুটি মাছ ধরে বোয়াল মাছ ধরে না।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, অনেকেই আমাকে বলছে ডা. জাফরুল্লাহ এই নির্বাচন কমিশনকে অনেক ভালো বলেছেন, আপনারাও মেনে নেন। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা তার নিজস্ব মন্তব্য। তিনি সবার শ্রদ্ধার মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি বিএনপির পক্ষে কথা বলার কেউ নন। তার বক্তব্য বিএনপির বক্তব্য নয়। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য পুরো জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য। সবার চাওয়া ছিল এমন একটা রাষ্ট্র হবে যেখানে মানুষে মানুষে বিভেদ থাকবে না। মানুষ তার কথা বলতে পারবে, একটা মুক্ত সমাজ তৈরি হবে। কিন্তু আজকের এই সরকার পরিকল্পিতভাবে সেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে শুধুমাত্র বড় লোক হওয়ার জন্য দুর্নীতির মহোৎসব চালাচ্ছে। মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। নিজেদের পকেট ভারি করছে, লুট করছে। লুটের টাকা বিদেশে পাচার করছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়