বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দুই পাশের সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সিনিয়র নেতা ও অংঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন।
এর আগে শনিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৬টি পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূলমঞ্চ তৈরি করা হয়। টানানো হয় ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্যপাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয় মাইক।
দুপুরের আগে থেকে ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও মহানগর থেকে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
‘শুধু সমাবেশ করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব নয়’
বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি। খালেদা জিয়া বাঁচলে জিয়া পরিবার বাঁচবে, দেশের রাজনীতি বাঁচবে।’
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। সরকার অনেক জুলুম-নির্যাতন করেও জিয়া পরিবারকে কিছুই করতে পারেননি, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি।’
মূল মঞ্চে আরও উপস্থিত রয়েছেন— দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবেদীন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, আকরামুল হাসান মিন্টু, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
এছাড়া রয়েছেন, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়