সময়টা ১৯৯৬ সাল। পঞ্চগড়ে সফরে গিয়ে সীমান্তের ওপারে চা চাষ দেখেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরসঙ্গী মন্ত্রী-সচিবদের কাছে জানতে চান ওপারে চায়ের আবাদ হলে এপারে কেন হবে না? তার এই একটি প্রশ্নই বদলে দেয় চির দরিদ্র উত্তরের এই জনপদের আর্থসামাজিক অবস্থা।
সিলেট অঞ্চলের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদন এলাকা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। প্রায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে ৯টি নিবন্ধিত, ২১টি অনিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষক পর্যায়ে ৮ হাজার ৬৭টি ক্ষুদ্র আকৃতির বাগানে চা চাষ হচ্ছে। নামমাত্র খরচে বছরে ৬ বার পাতা বিক্রি করে ভাগ্য বদলে ফেলেছেন এক সময়ের কষ্টে থাকা কৃষকেরা। গত বছর কাঁচা চা পাতা উৎপন্ন হয়েছে ৭ কোটি ৩৫ লাখ কেজি।
চা চাষ করে লাভবান হওয়ার বিষয়ে কৃষকরা বলেন, আগের থেকে দিনকাল ভালো যাচ্ছে। একবিঘা জমিতে কম করে হলেও ৪০ হাজার টাকা আসবে। ফ্যাক্টরি যে দরে আমাদের থেকে চা পাতা কিনছে, এতে আমরা ভালোই লাভবান হচ্ছি।
৪১টি নিবন্ধিত কারখানার মধ্যে এখন পর্যন্ত ২২টিতে চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত বছর ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছে যার প্রায় পুরোটাই গেছে বিদেশে। পাশাপাশি এসব কারখানায় কাজ করছেন ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিক।
বেকার অবস্থার পরিবর্তনের বিষয়ে তারা বলেন, আগে আমরা বেকার ঘুরে বেড়াতাম। এখানে চায়ের কারখানা হওয়ায় আমাদের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের মতো অনেকেই এখানে কাজ করছে। কারখানা থেকে যা টাকা পাচ্ছি তা দিয়ে সংসার বেশ ভাল চলছে।
এক সময়ে তেঁতুলিয়া উপজেলার হেক্টরের পর হেক্টর পতিত জমি গোচারণভূমি হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৬ সালে সফরে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি প্রশ্নই পঞ্চগড়ে চা চাষে বিপ্লবের সূচনা এনে দিয়েছে বলে জানান চা বোর্ডের কর্মকর্তা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়