পরিবাহী টেক্সটাইল উৎপাদনে জোর দিতে পারে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক পরিবাহী টেক্সটাইল বাজার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫. ৬% যৌগিক বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হারে আনুমানিক ২.১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে, যেখানে ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ১.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পরিবাহী টেক্সটাইলের প্রধান ব্যবহারকারীরা হলেন সামরিক এবং প্রতিরক্ষা খাতের কর্মীরা। যাইহোক, অনুমান করা হয় যে উৎপাদিত পণ্যের উচ্চ ব্যয়ের কারণে এর জনপ্রিয়তা কম যা বিশ্বব্যাপী পরিবাহী টেক্সটাইল মার্কেটের প্রবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণকারী কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম ।

পরিবাহী টেক্সটাইলটি এক ধরণের কাপড়, যার মধ্য দিয়ে বিদ্যুত পরিবাহিত হতে পারে এবং ধাতব আঁশকে বুননের মাধ্যমে একে কাপড়ে পরিণত করা যায়। কার্বন- বা ধাতব গুঁড়ো সাধারণ টেক্সটাইলের সাথে মিশ্রিত করে সেমিকন্ডাক্টিং টেক্সটাইল তৈরীতেও বিশ্বব্যাপী আগ্রহ রয়েছে। ফিটনেস, ক্রীড়া, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিত্সা বিজ্ঞান, সামরিক এবং প্রতিরক্ষা সহ বিভিন্ন শিল্পে নানাবিধ ব্যবহারের কারণে কন্ডাকটিভ টেক্সটাইল ২০১৫ সাল থেকে এই দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিভাগটি বিশ্বজুড়ে পরিবাহী টেক্সটাইলগুলির বৃহত্তম ব্যবহারকারী। ন্যানো টেকনোলজি এবং ইলেকট্রনিক্স সজ্জিত টেক্সটাইল ভিত্তিক উপকরণ প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত সামরিক পরিধেয় এবং অন্যান্য কার্যকরী পণ্যগুলির উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করে। পরিবাহী টেক্সটাইলগুলির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কারণ একজন সৈন্যকে তাপ, ঠান্ডা, বাতাস এবং বৃষ্টিপাতের মত প্রতিকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত এবং পারমাণবিক, জৈবিক বা রাসায়নিক হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রয়োজন। এছাড়াও, প্যারাশুট, সুরক্ষা বর্ম, দড়ি এবং তাঁবুতেও এই টেক্সটাইলগুলোর ব্যবহার রয়েছে ।

ইউরোপ পরিবাহী টেক্সটাইল বাজারের বৈশ্বিক নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে আছে। মূলত পরিধেয় বস্ত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে ইউরোপীয় পরিবাহী টেক্সটাইল বাজারের প্রবৃদ্ধি সাধিত হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে পরিবাহী টেক্সটাইলের বাজারের যৌগিক বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ক্রীড়া, ফিটনেস এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে পরিবাহী টেক্সটাইলের উচ্চ চাহিদা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এই প্রবৃদ্ধির মূল কারণ।

চীনের পরে বাংলাদেশই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেক্সটাইল এবং পোশাক রফতানিকারক দেশ, যদিও সম্প্রতি বাংলাদেশ বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এবং বিশ্ববাজারে তার প্রতিযোগিতা হারাচ্ছে। তাই এখানে টিকে থাকার জন্য শিল্প বিশেষজ্ঞরা মান সংযোজনিত পণ্যের উন্নয়ণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ন্যানো প্রযুক্তির উন্নয়ণে জোর দিয়ে বাংলাদেশ পরিবাহী টেক্সটাইলের মত একটি মান  সংযোজনিত পণ্যের বড় একটি প্রস্তুতকারক দেশে পরিণত হতে পারে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ডেকাথলন, নাইকি, পুমা, অ্যাডিডাস, লুয়ানভী ইত্যাদি স্পোর্টস ব্র্যান্ডের জন্য জ্যাকেট তৈরি করছে তবে সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য, উৎপাদন এখনও শুরু হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর
ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

জনকণ্ঠ
৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

বণিক বার্তা
পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বাংলা ট্রিবিউন
এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

যুগান্তর
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

প্রথমআলো
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

বণিক বার্তা
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়