চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির জামিন আবেদনের ওপর অবিলম্বে অথবা আদেশের কপি পাওয়ার দুইদিনের মধ্যে শুনানির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে গত ২২ আগস্টের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তারও কারণ জানাতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে পহেলা সেপ্টেম্বরের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর রুলের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহষ্পতিবার এ আদেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, আমরা এই মুহুর্তে জামিন দিচ্ছি না। তবে রুল দিচ্ছি। এরপর আদেশ দেন আদালত। এই আদেশের তথ্য ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অবহিত করতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের প্রতি(ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে পরীমনির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও মো. মুজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় পরীমণির জামিন আবেদনের ওপর আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করে দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে বুধবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনে পরীমনির জামিন চাওয়া হয়। আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না বলেন, পরীমনিকে গ্রেপ্তারের ২৬ ঘন্টা পর মামলার এজাহার দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া তাকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মানা হয়নি।
অ্যাডভোকেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত গত ২২ আগস্ট এক আদেশে ১৩ সেপ্টেম্বর জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছে। তবে এই শুনানি এগিয়ে আনতে পরদিন ২৩ আগস্ট পৃথক একটি আবেদন দেওয়া হলেও আদালত তা আমলেই নেয়নি। ২১দিন দেরিতে জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করে দেওয়া আদেশ যথাযথ হয়নি। এ অবস্থায় আপনাদের কাছে জামিন চাচ্ছি।
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বলেন, দায়রা জজ আদালতের ওই আদেশে বেআইনি কিছু নেই।
এসময় হাইকোর্ট বলেন, দায়রা আদালতের আদেশে কিছু অনিয়ম হয়েছে। জামিন আবেদনের ওপর শুনানি এতদিন ঝুলিয়ে রাখা কি ঠিক হয়েছে? এতদিন পর শুনানির কি আছে? ঝুলিয়ে না রেখে খারিজ করতে পারতেন। আর তিনি শুনানির জন্য সময় না পেলে অতিরিক্ত দায়রা জজকে শুনানির জন্য দিতে পারতেন। কিন্তু তা দেননি। তবুও বলছি, প্রথা অনুযায়ী এসব ক্ষেত্রে(জামিন আবেদন) হাইকোর্ট ও দায়রা জজ আদালতের
এখতিয়ার সমান। তাই আমরা এ মুহুর্তে জামিন দিচ্ছি না। রুল দিচ্ছি। আদেশে গত ২৩ আগস্ট দেওয়া আবেদন আদেশের কপি পাওয়ার দুইদিনের মধ্যে শুনানির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং গত ২২ আগস্টের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়