ক্রিকেটে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ফাইনালে আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে ১৫তম আসরের শিরোপা জিতেছে শ্রীলঙ্কা। এ নিয়ে এশিয়া কাপের ষষ্ট শিরোপা জিতল লঙ্কানরা। ভারত জিতেছে ৭বার। পাকিস্তান ২ বার। দুবাইয়ে ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৭ রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেয় লঙ্কানরা। ফলে ২৩ রানে ম্যাচ জিতে শিরোপা জিতেছে দাসুন শানাকা বাহিনী। দুই লঙ্কান বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও প্রমোদ মাদুশানের বোলিং তোপে পাকিস্তানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইখতিখার আহমেদ ছাড়া অন্য কোনো ব্যাটার ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পারেনি। রিজওয়ান ৪৯ বলে ৫৫ এবং ইখতিখার আহমেদ ৩১ বলে ৩২ রান করেন।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ২৭ রানে ৩টি এবং প্রমোদ মাদুশানে ৩৪ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন।
রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) শুরুতেই ওপেনার কুশল মেন্ডিসের উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দলীয় ২৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় দাসুন শানাকা বাহিনী। ৮.৯ ওভারে ৫৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে লঙ্কানরা। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ভানুকা রাজাপাকসের পার্টনারশিপে ৫৮ রান আসে। ২১ বলে ৩৬ রান করে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা আউট হলেও অন্যপ্রান্ত আঁকড়ে রাখেন ভানুকা রাজাপাকসে। তিনি ৪৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে অপর লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে পাথুম নিসানকা ৮, দানুস্কা গুনালিথাকা ১, ধনঞ্জনা ডি সিলভা ২৮, দাসুন শানাকা ২ রানে আউট হন।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে হারিস রউফ ২৯ রানের বিনিময় তুলে নেন ৩ উইকেট। নাসিম শাহ, শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে রবিবার অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা । অন্যদিকে পাকিস্তান দল মাঠে নামে দুই পরিবর্তন নিয়ে। উসমান কাদির আর হাসান আলির পরিবর্তে দলে জায়গা পান শাদাব খান আর নাসিম শাহ।
এখন পর্যন্ত ২৩বার টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে ১৩ বার জিতেছে পাকিস্তান। ১০ বার জয় আছে শ্রীলঙ্কার। টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে পাকিস্তানের জয়ের পাল্লা ভারী থাকলেও এশিয়া কাপের মঞ্চে বেশি জয় রয়েছে শ্রীলঙ্কার। এশিয়া কাপে ১৭বারের লড়াইয়ে ১২বার জিতেছে লঙ্কানরা। ৫ বার জয় আছে পাকিস্তানের। ২০১৪ সালের পর রবিবার ফের এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুদল। শুক্রবার সুপার ফোরে দেখা হয়েছিলো দু’দলের। ফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সেল’ ম্যাচে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে দাসুন শানাকা বাহিনী। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল প্রতিশোধের পালা পাকিস্তানের। কারণ ২০১৪ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের ফাইনালে লঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান।
এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম ওভারেই সাফল্য পায় পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহ। ১৪২ কিলোমিটার গতিতে করা ইনিংসের তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিস। এই আঘাতের পর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টা করে শ্রীলঙ্কা। ২ রানে কুশাল মেন্ডিসকে হারানোর পর নিসানকা ও ধনঞ্জয়া দলীয় সংগ্রহকে বড় করতে থাকেন। ৩ ওভার শেষে দুজন তুলেন ২৩ রান। চতুর্থ ওভারে দুজনের জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। তার করা দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে অধিনায়ক বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিসানকা। ১১ বলে ১ চারে ৮ রান করেন তিনি। দলীয় ৩৬ রানে সাজঘরে ফিরেন দানুস্কা গুনালিথাকা। হারিস রউফের করা ১৫১ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে না পেরে বোল্ড হন তিনি। সপ্তম ওভারে চমক জাগিয়ে ইফতিখার আহমেদের হাতে বল তুলে দেন বাবর আজম।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়