কয়েক বছর ধরেই আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশের পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। ঘাটতি মেটাতে নির্ভর করতে হয় আমদানির ওপর। তবে কোনো কারণে আমদানিতে সংকট দেখা দিলেই পেঁয়াজের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। কৃষি মন্ত্রণালয় চাইছে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে। সেজন্য পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে চার বছরের একটি রোডম্যাপও তৈরি করেছে মন্ত্রণালয়। সেই রোডম্যাপে গ্রীষ্মকালীন জাত উদ্ভাবনের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণের উপায় খুঁজতে গবেষণার কথা বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশে পেঁয়াজের সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে।
সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে দেশীয় পর্যায়ে পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে দ্রুত কাজে লাগিয়ে ঘাটতি পেঁয়াজের স্থান পূরণ, এর সংরক্ষণকাল বাড়ানোসহ পেঁয়াজের শর্ট ভ্যারাইটির জাত উদ্ভাবনের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। তাতে পেঁয়াজের সংকট কাটাতে চলমান নানা উদ্যোগ তুলে ধরা হয়।
পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ রোডম্যাপে বলা হয়েছে, প্রতিটি পারিবারিক পুষ্টি বাগানে পেঁয়াজ চাষের ব্যবস্থা করতে হবে। পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ভারত থেকে গ্রীষ্মকালীন ও মিয়ানমার থেকে শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ আমদানি করা এবং গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আবাদি এলাকা বৃদ্ধি করার মতো উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পেঁয়াজের উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মসলা গবেষণা কেন্দ্র থেকে এরই মধ্যে উন্নতজাতের শীতকালীন বারি পেঁয়াজ-১, বারি পেঁয়াজ-৪, বারি পেঁয়াজ-৬ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন জাত হিসেবে বারি পেঁয়াজ-৩ ও বারি পেঁয়াজ-৫ উদ্ভাবন করা হয়েছে। অধিক সংরক্ষণ ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি উচ্চফলনশীল লাইন সিএমও-৩৭৪ এবং সিএমও-৩৭৫ আঞ্চলিক ফলন পরীক্ষণে রয়েছে, যা থেকে নতুন ভালো জাত উদ্ভাবন হতে পারে বলে প্রতিবেদনে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের সহায়তায় মসলা গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা পেঁয়াজের সংরক্ষণকাল বাড়ানোর এবং অধিক সংরক্ষণকাল উপযোগী শর্ট ভ্যারাইটির উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়