ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে হুমকি দেওয়ায় ফেনীর সোনাগাজীর ছয় আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সোনাগাজী থানায় এ মামলা করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা বসর সিকদার।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম মামলার বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি আতিক ফেনী সদর উপজেলার বিজয়সিংহ এলাকার রতন ঠিকাদারের ছেলে।
মামলায় সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদ, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল আদর, মো. আতিকুর রহমান, মামুন, ফারুকসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
‘প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়া ছাড়া ফেনীতে সিন্ডিকেটের বাহিরে কোনো ঠিকাদারের কাজ করার ক্ষমতা নেই, দেশে চলে এক নিয়মে আর ফেনী চলে অন্য নিয়মে। ’ সোনাগাজী উপজেলার মুহুরি প্রজেক্ট এলাকায় সংস্কারকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা বসর সিকদারকে মুঠোফোনে সম্প্রতি এমন হুমকি দিয়েছেন এক ব্যক্তি।
এ সংক্রান্ত দুজনের মুঠোফোনে কথোপকথনের অডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। যাতে আতিককে বসর সিকদারের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, টেন্ডারসংক্রান্ত কাজে আপনাদের যত টাকা খরচ হয়েছে, এর কিছু লাভ আপনাদের দিয়ে দেব বলেছি; কিন্তু আপনারা শোনেননি, আপনারা আমাদের সঙ্গে ক্ষমতা দেখাইলেন। আপনি আমার সহযোগিতা চেয়েছেন কিন্তু আমি আপনাকে সহযোগিতা করতে পারব না। কারণ আমরা তো একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলি, এই সিন্ডিকেটের প্রধানের নাম কি সেটি মোবাইলে বলতে পারব না।
অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, আপনাদের যদি কাজ করার সুযোগ দেয়, তা হলে কালকে আমি বসকে গিয়ে বলব আমাকেও কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এভাবে সবাইকে বসের কাছে যেতে থাকবে। আপনারা নিয়মের বরখেলাপ করে অন্যায় করেছেন, তাই আপনাদের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। আপনারা যদি প্রায়শ্চিত্ত না করেন নিয়মের বরখেলাপ হবে।
অডিওতে আরও শোনা যায়, আপনাদের কাজ করতে হলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে হবে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া ছাড়া ফেনীতে আপনারা কাজ করতে পারবেন না। ফেনীতে পোস্টপেইডে কাজ চলে না, প্রিপেইডে চলে। আপনি এক কোটি টাকার কাজ পেয়েছেন, আপনি যদি এখন বসকে ৫ কোটি টাকা দিয়ে বসের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন এইবারের মতো কাজ করার সুযোগ দেন তাতে কোনো লাভ হবে না।
অডিও কথোপকথন নিজের বলে স্বীকার করে মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের কর্মকর্তা বসর সিকদার বলেন, সংস্কারকাজটি অনলাইন টেন্ডারে পাওয়ার পর থেকে আতিকুর রহমান, আব্দুল জলিল আদর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে রাস্তা সংস্কারকাজটি তাদের ছেড়ে দিতে বলে; কিন্তু আমরা রাজি না হলে তারা আমাদের কাজ করতে দেব না বলে হুমকি দেয়।
তবে অডিওটি নিজের নয় বলে দাবি করে আতিকুর রহমান বলেন, বর্তমান সময়ে এডিটিং করা অনেক অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। কাজ বন্ধ করার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগসূত্র নেই।
অভিযোগের বিষয়ে ফরহাদ, আদর ও মামুন বলেন, আমাদের হেয় করার জন্য মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে। কাজ বন্ধ করে দেওয়া ও হুমকিধমকির সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা কারও কাছে চাঁদা দাবি করিনি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়