কক্ষপথে ফিরতে চেষ্টার কমতি নেই জাভি হার্নান্দেজের। দল ভারি করতে ন্যু-ক্যাম্পে উড়িয়ে এনেছেন উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের আদামা ত্রায়োরকে। তার দিন দুয়েকের ব্যবধানে আর্সেনাল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিলেন পিয়েরে-এমেরিং অবামেয়াং। প্রিমিয়ার লীগের দুই খেলোয়াড়ের বার্সা অভিষেকটা হয় দুর্দান্ত। শক্তিশালী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চেনারূপে ফেরার আভাস দেয় কাতালানরা। কিন্তু এক ম্যাচ পরই ঘটলো ব্লাউগ্রানাদের ছন্দপতন। রোববার রাতে স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে শেষ মুহূর্তের গোলে এস্পানিয়লের মাঠে হার এড়িয়েছে জাভির শিষ্যরা। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়।
আরসিডিই স্টেডিয়ামে শুরুতেই পেদ্রি লিড এনে দেন বার্সাকে।
প্রথমার্ধেই সার্জি দার্দেরের গোলে সমতায় ফেরে এস্পানিয়ল। দ্বিতীয়ার্ধে রাউল দে টমাসের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। শেষ বাঁজি বাজার আগ মুহূর্তে লুক ডি ইয়ংয়ের গোলে হার এড়ায় বার্সা।
বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণে বার্সেলোনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে এস্পানিয়ল। ৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১২টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখে বার্সা। ৩৫ শতাংশ বল দখলে রাখা এস্পানিয়ল ১০টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখে।
শেষ মুহূর্তে হার এড়ানোয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বার্সা কোচ জাভি। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে একটি ইতিবাচক পয়েন্ট পেলাম। দুই অর্ধেই আমরা ভালো খেলেছিল। এস্পানিয়ল খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও তারা দুর্দান্ত খেলেছে। দারুণ একটি ম্যাচ ছিল। চলতি মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদ এ মাঠে হেরে গিয়েছে। আমরা ম্যাচের সুযোগ গুলো কাজে লাগাতে পারলে জয় পেতাম।’
গত ৩রা অক্টোবর এস্পানিয়লের মাঠে ২-১ গোলে হারে রিয়াল মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়নস লীগের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে আগেই। কোপা দেল রের শিরোপার লড়াই থেকেও ছিটকে গেছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে থাকা ব্লাউগ্রানাদের শিরোপা জেতা দুষ্কর। কাতালানদের লক্ষ্য এখন সেরা চারে থেকে আগামী চ্যাম্পিয়নস লীগে জায়গা করে নেয়া। জাভি বলেন, ‘এ ম্যাচে হারলে বিষয়টি হতাশাজনক হতো। আমরা এখনো চ্যাম্পিয়নস লীগে জায়গা পেতে লড়াই করছি। আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে ছয় গজ বক্সে ক্রস বাড়ান জর্ডি আলবা। বিনা বাধায় ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন পেদ্রি।
৩৭তম মিনিটে লক্ষ্যে দ্বিতীয় শট নেয় বার্সেলোনা। আদামা ত্রায়োরের জোরালে শট ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন এস্পানিয়ল গোলরক্ষক দিয়েগো লোপেজ। এর তিন মিনট পরই দারুণ গোলে সমতা টানেন দার্দের।
৫৬তম মিনিটে আবার জালের দেখা পায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সে দুজনের বাধা এড়িয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন গাভি। তবে ফ্রেংকি ডি ইয়ং অফসাইডে থাকায় বাতিল হয় গোলটি।
৬৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় এস্পানিয়ল। সতীর্থের উঁচু ক্রসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার দে টমাস।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়