নেত্রকোনার মদনে আকস্মিক বন্যায় পৌরসভাসহ উপজেলার আট ইউনিয়নের ৪ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ সুযোগে একশ্রেণির অসাধু জেলে সরকার নিষিদ্ধ জালে পোনা মাছ নিধন করায় এলাকায় বড় মাছের আকাল দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার ফতেপুর, তিয়শ্রী, মাঘান, গোবিন্দশ্রী, মদন, নায়েকপুর, কাইটাইল ও চানগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন জলাশয়ে সরকার নিষিদ্ধ চায়না, মশারি, কারেন্ট, কণা ও বেড় জাল দিয়ে অবাধে পোনা মাছ নিধন করছে। এ ব্যাপারে কোনো প্রতিকার না নেওয়ায় দিন দিন অবৈধ মাছ শিকারিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাছ শিকারি বলেন, বর্ষায় কাজ না থাকায় আমরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আমরা নিবন্ধনকারী জেলে হলেও কোনো দিন সরকারি সাহায্য পাই না। এখন আমরা মাছ না ধরলে সংসার চলবে কীভাবে?
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি বাঘমারা গ্রামের হাফিজুর রহমান মিলন, ইল্লাক মিয়া, ফতেপুর গ্রামের মোতাহার বলেন, হঠাৎ করে বন্যা হওয়ায় আমাদের পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকার যদি আমাদের সাহায্য করে তা হলে আমরা আবার দাঁড়াতে পারব। বর্তমানে আমরা খুবই দুরবস্থায় আছি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মদন উপজেলা শাখার মহাসচিব মোতাহার আলম চৌধুরী বলেন, বন্যায় পুকুরের মাছ ভেসে জলাশয়ে ঢুকে পড়ায় সাধারণ মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল— এবার মিঠাপানির মাছ জলাশয়গুলোতে ভরপুর থাকবে। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি যেভাবে সরকার নিষিদ্ধ বিভিন্ন জাল দিয়ে মুক্ত জলাশয়গুলোতে পোনা মাছ ধরছে তাতে সামনে এলাকায় মিঠাপানি মাছের আকাল দেখা দেবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়