বাংলাদেশের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য সবাই প্রচেষ্টা চালাবেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪২তম জাতীয় সমাবেশে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। দেশের উন্নয়ন মানেই প্রতিটি পরিবারের উন্নয়ন। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় আছে বলেই সরকার উন্নয়ন করতে পারছে। আর উন্নয়ন করতে পেরেছে বলেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এ মর্যাদা ধরে রাখতে হবে।
দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীরও অবদান রয়েছে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাব। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আপনাদেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন, সেটাই আমি আশা করি।’
এ সময় অবকাঠামোসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়ন হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার আনসারকে সব দিক দিয়ে আধুনিকায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। রেঞ্জ, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে বাহিনীর জন্য আধুনিক ভবন নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।
মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ভূমিকার কথা প্রশংসা করে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল ১২ জন বীর আনসার সদস্য মুজিবনগরের আম্রকাননে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে এ বাহিনীকে করেছে গৌরবান্বিত। ভাষা শহিদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ৬৭০ জন বীর আনসারসহ সকল শহিদকে গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও সাফল্যের অন্যতম অংশীদার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনসম্পৃক্ত সুশৃঙ্খল এ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পরিবার পরিকল্পনা, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ মোকাবিলা, পরিবেশ রক্ষা, বৃক্ষরোপণ, নারী ও শিশুপাচার রোধ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অনবদ্য অবদান রাখছে। নারীর ক্ষমতায়ন, জনকল্যাণ ও উন্নত জাতি গঠনে প্রায় ৬১ লাখ সদস্যের এ বাহিনীর বহুমুখী উন্নয়নমূলক কর্মতৎপরতা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়াও খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে এ বাহিনীর সদস্যরা অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়