এ মাসেই পূর্ণ হচ্ছে স্বাধীনতার ৫০ বছর। মুক্তির সুবর্ণজয়ন্তীর কালে এসে দেশের নানা সফলতা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়মিত আয়োজন থাকছে বণিক বার্তায়
ফুটওয়্যারের আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ প্রবেশ করে নব্বই দশকের শুরুতে। এর প্রথম অনুপ্রেরণা মেলে ১৯৮৯ সালে। সে সময় চামড়া প্রদর্শনী হতো হংকংয়ে। এতে অংশ নেয় এপেক্স ট্যানারি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। হংকং-জাপান যোগাযোগ সুবিধার কারণে প্রদর্শনীতে অনেক জাপানি ক্রেতা আসতেন। তাদের মধ্যে এপেক্সের চামড়ার বড় ক্রেতারাও ছিলেন। এপেক্সের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে ‘মারুটোমি’ নামের এক জাপানি জুতা বিক্রেতা কোম্পানির সংযোগ ঘটিয়ে দিলেন তারা। প্রতিষ্ঠানটির তখন শুধু খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রই ছিল প্রায় ১ হাজার ১০০টি।
ওই সময় ভারত বা অন্যান্য উৎস থেকে জুতা কিনতে শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। অন্যদিকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্তভাবে পণ্য আমদানির সুযোগ ছিল ক্রেতাদের। এ কারণে এপেক্সের জাপানি ক্রেতারা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে পরামর্শ দিলেন দেশেই জুতা কারখানা গড়ে তোলার। অন্যদিকে মারুটোমিও এ শুল্ক সুবিধার সুযোগ নিতে বাংলাদেশ থেকে জুতা কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।
তখন পর্যন্ত দেশে স্থানীয় উদ্যোগে জুতা উৎপাদন হয়েছে অনেকটা কুটির শিল্পের মতো করে। এক্ষেত্রে একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশের বাজারের চাহিদা পূরণ। এ কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির উপযোগী জুতার কারখানা তখনো একটিও গড়ে ওঠেনি।
রফতানিমুখী জুতা উৎপাদনকারী কারখানা হিসেবে এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের যাত্রা ১৯৯০ সালে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির ভিত্তি তৈরি হয়েছিল সত্তরের দশকের মাঝামাঝি। সে সময় লোকসানি প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন ট্যানারিকে নিলামে তোলে সরকার। ১২ লাখ ২২ হাজার ডলারে ট্যানারিটি কিনে নেন উদ্যোক্তা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় এপেক্স ট্যানারি।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর হাতে পড়ে চামড়াজাত জুতার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে নিতে সক্ষম হয় প্রতিষ্ঠানটি। ফলে জুতার রফতানিমুখী প্রথম কারখানা হিসেবে যাত্রা করলেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি এপেক্স ফুটওয়্যারকে।
চামড়া রফতানির সূত্র ধরে ইতালীয় ক্রেতাদের সঙ্গে প্রথম সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এপেক্স ট্যানারির। প্রকৃতপক্ষে ইতালীয়রাই ছিল ট্যানারিটির প্রক্রিয়াজাত চামড়ার প্রথম ক্রেতা। কিন্তু বাংলাদেশের পাদুকা শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে তাদের বেশ উন্নাসিক মনোভাব ছিল। পরে ক্রাস্ট লেদার বা প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানির সুবাদে এপেক্সের সঙ্গে জাপানিদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে চামড়ার মূল্য সংযোজনের সম্ভাবনা নিয়ে জাপানিদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক।
ওই ক্রেতারা এক পর্যায়ে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে প্রশ্ন করে বসেন—সারা জীবন শুধু চামড়া রফতানি করবেন? মূল্য সংযোজন করতে হবে না? ক্রেতাদের এ কথা মনে দাগ কাটল সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়