গত এক দশকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাত ও জিডিপিতে ব্যাপক উন্নতি দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। তবে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রাজনীতিবিদদের অর্থ আদায়সহ ১২টি বাঁধা প্রতিবেদনটিতে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আইসিটি, স্বাস্থ্য খাত, শিক্ষাসহ ১০টি খাতকে সম্ভাবনাময় হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে নিয়মিত এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে বিশ্বের শক্তিধর এ রাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়েও নানা তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।
বাংলাদেশের ৩টি খাতে উন্নতি দেখছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। যার মধ্যে রয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ, এক দশক ধরে জিডিপি'র উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে বলে মতামত দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাঁধাগ্রস্ত হওয়ার ১২টি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় বাঁধা হিসেবে দুর্নীতিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে শ্রম আইনের শিথিল প্রয়োগ, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামো।
এছাড়া সীমিত অর্থায়নের সুযোগ, নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামোতে ঘাটতি, জমিসংক্রান্ত বিরোধ, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ধারাবাহিক লোকসান, আমলাদের বিপরীতমুখী সিদ্ধান্ত, আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় হুমকি-ধামকি দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগকে বাঁধা হিসেবে উল্লেখ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়