দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপির অপরাজনীতি মাঠে মারা গেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘সরকার বাজার স্থিতিশীল করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। রমজানে যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। কেউ অপকৌশল গ্রহণের মাধ্যমে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের লাগাতার মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (২৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের শতভাগ জনগণ আজ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় এসেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে সুনির্দিষ্ট নীতির ওপরে রাষ্ট্র পরিচালনা করে চলেছেন। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না, তারা এর সুফল দেখতে পায় না। বিএনপির মন ও মগজে দুর্নীতি আর লুটপাট। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে তাদের গাত্রদাহ হয়।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রতিটি ঘর আজ বিদ্যুতের আলোয় উদ্ভাসিত। এই আলোতেও বিএনপি বরাবরের মতো অন্ধকার দেখে। বিএনপির চোখে যে কোনও উপায়ে শুধু ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র। সাংবিধানিক রীতি-নীতি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও নির্বাচনের প্রতি কোনও শ্রদ্ধবোধ না দেখিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়।’
ইসির সঙ্গে সংলাপে বিএনপির আগ্রহ না থাকা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কোনও প্রকার সংলাপের চেয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অন্ধকারের পথ অবলম্বনই বিএনপির একমাত্র কৌশল। একইসঙ্গে সব ধরনের গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রতি নিজেদের অনাগ্রহের ভূত বিএনপি আজ জাতির ওপর চাপাতে চায়। আইনের ভিত্তিতে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশন গঠনে সব রাজনৈতিক দল, এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়েও নাম প্রস্তাবের আহ্বান করে। সেখানে ৩ শতাধিক ব্যক্তির নাম জমা পড়ে। নবগঠিত ইসি নিয়ে জনগণের আগ্রহ আছে কি-নেই তা এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত। ইসির সঙ্গে সংলাপে উপস্থিত বিশিষ্টজনদের মধ্যে বিএনপির আদর্শের মনোভাবপন্ন ব্যক্তিবর্গও ছিলেন। বিএনপি সাংবিধানিক ব্যবস্থা ধ্বংস এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যেই সংলাপে যেতে চায় না।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আমলে দেশ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য ও দুর্নীতির অভয়রাণ্যে পরিণত হয়েছিল। তারা অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের ললাটে বিএনপি দুর্নীতিতে পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কলঙ্ক তিলক পরিয়েছিল। তারা অনিয়ম লালন করেছে, প্রশ্রয় দিয়েছে। স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্বে রেখে দুর্নীতিবাজদের দলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির কোনও প্রশ্রয় নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। দুর্নীতিবাজ যে-ই হোক, তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়