নানা বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও গত এক মাসে পাঁচটি গণসমাবেশে বড় জমায়েত করতে পেরে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বেশ খুশি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহাসমাবেশ ঘিরে এখন তারা পরিকল্পনা তৈরি করছেন। তবে আগামী শনিবার অনুষ্ঠেয় ফরিদপুর বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে দুশ্চিন্তায়ও আছে দলটি। বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগের পাল্টা সমাবেশ এবং প্রশাসনের ‘অসহযোগিতা’ তাদের বেশ ভাবাচ্ছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশে ফরিদপুরের বাইরে যশোর, খুলনা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ ও সাভার থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নিতে পারেন। সড়কপথে ঝামেলা হতে পারে—এমন শঙ্কা থেকে নেতাকর্মীদের যতটা সম্ভব নদীপথকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বলছেন, ফরিদপুর বিভাগের মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এ বিভাগে আওয়ামী লীগের সংগঠন বেশ শক্তিশালী। তাই এখানে বাধা আসতে পারে—এমনটা ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছেন তাঁরা।
বিএনপির গণসমাবেশের আগের দিন শুক্রবার ফরিদপুরে সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ সমাবেশ ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই দিন ঢাকায় যুবলীগের মহাসমাবেশও রয়েছে। সব মিলিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আগামী কয়েক দিন বেশ উত্তপ্ত থাকবে বলে ধারণা করছেন সবাই।
বিএনপি শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে সমাবেশ করার আবেদন করে ছিল। কিন্তু শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসংলগ্ন কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটের মাঠে দলটিকে সমাবেশে অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, এমন জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা বাসস্ট্যান্ড এবং লঞ্চ ও খেয়াঘাট থেকে খানিকটা দূরে। পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হলে শরীয়তপুর কিংবা আশপাশের উপজেলা থেকে এসে নেতাকর্মীদের ঘাটে ট্রলারে অবস্থান নেওয়াটা কঠিন হবে। নেতাকর্মীদের হেঁটে শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে মাঠে যেতে হবে। আগের পাঁচ বিভাগের সমাবেশের মাঠ শহরে ছিল। নেতাকর্মীরা দূর-দূরান্ত থেকে এসে কয়েক দিন আগেই সে মাঠে অবস্থান নিয়েছিলেন।
বিএনপির দুশ্চিন্তা স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা নিয়েও। সমাবেশস্থলে যাওয়ার পথে ফরিদপুরে ভাঙ্গায় নেতাকর্মীরা বাধার মুখে পড়তে পারেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। যাঁরা মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ থেকে আসবেন, তাঁদের ভাঙ্গা দিয়েই ফরিদপুর শহরে যেতে হবে। বিকল্প যে সড়ক আছে তা ব্যবহার করে ফরিদপুর যাওয়া অনেক কঠিন এবং অনেক বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে।
১০ ডিসেম্বরের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন ফরিদপুর নেতাকর্মীরা
বিএনপি নেতারা বলছেন, ফরিদপুরের গণসমাবেশকে ঢাকার মহাসমাবেশের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন তাঁরা। তাঁদের মতে, একসময় আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে সারা দেশে পরিচিত ছিল বৃহত্তর ফরিদপুর। তবে সেই পরিস্থিতি এখন নেই। ফরিদপুর-৩ (সদর) ও ২ (নগরকান্দা) ছাড়া বাকি ১৩ আসন আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত থাকলেও চিত্র এখন পাল্টাচ্ছে। অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী, বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান এবং ফরিদপুরের বিখ্যাত মোহন মিয়া পরিবারের উত্তরসূরি চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মতো নেতারা ফরিদপুরে বিএনপিকে শক্তিশালী ভিত্তিতে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর পর সংগঠন অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়