বিএনপি যে ২৭টি প্রস্তাব নিয়ে কথিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ উপস্থাপন করেছে, সেটিকে বিএনপির স্ট্যান্টবাজি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে খাদ্য উপ-কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, যারা রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, তারা কীভাবে সেটি মেরামত করবে। গণতন্ত্র আর মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ তো বিএনপিই ধ্বংস করেছে। তাদের হাতে রক্তের দাগ, আবার তারাই খুনিদের পুরস্কৃত করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট থেকে ৩ নভেম্বর তারা খুনের রাজনীতি শুরু করে। ২১ আগস্ট পর্যন্ত আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ কিবরিয়া, খুলনার মুঞ্জুরুল ইমাম, যশোরের শামসুর রহমান, সাংবাদিকরাও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। তাদের হাতে তো রক্তের দাগ। কাজেই যারা ধ্বংস করে, তারা মেরামত করবে কীভাবে? এটা নতুন কিছু নয়, এটা তাদের স্ট্যান্টবাজি। এতে তাদের আন্দোলন জমবে না। মানুষ বিভ্রান্তও হবে না।
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, এটা খুব হাস্যকর, তারা যে রাষ্ট্রকে মেরামত করতে চায়, সে রাষ্ট্র আজ বিশ্বের বিস্ময়। তারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল; সে বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নিজ পদক্ষেপে মেরামত করেছেন। আমাদের লক্ষ্য এখন ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া।
বিএনপি রাষ্ট্র ধ্বংস ছাড়া কী করেছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র ও ভোট চুরি আমরা (আওয়ামী লীগ) করিনি। তারা (বিএনপি) ভোট চুরি করেছে। নির্বাচনে জালিয়াতি করেছে। দলীয় লোক দিয়ে আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। ইয়েস-নো ভোট দিয়ে কী প্রহসন করেছে তা সবাই জানে। তাদের এমন জালিয়াতি নতুন কিছু নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিথ্যাচারের হোতা। তাদের মুখে সত্যের বাণী আরেক আশ্চর্য। কারণ তারা তো মিথ্যাচার করে, মিথ্যাকে সত্য বানাতে চায়। এদেশের মানুষ এতো বোকা নয় যে, তাদের মিথ্যাচার বিশ্বাস করবে। বিএনপির নেতারা ক্ষমতার লোভে মাঠে নেমেছে। কিন্তু দেশের মানুষকে আজও নামাতে পারনি। কারণ এদেশের মানুষ মনে করে মুক্তিযুদ্ধের কান্ডারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংকট থেকে সম্ভাবনায় রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের রূপকার। মানুষ বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়া কিছু ভাবেন না। তিনি সব থেকে সৎ এবং মানুষের উন্নয়নের জন্য পরিশ্রম করেন।
আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ডে স্মার্টনেস প্রদর্শন করতে হবে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সম্মেলনে যেন কোনো প্রকার শৃঙ্খলার বিচ্যুতি না ঘটে। এগুলো নিয়ে পত্রপত্রিকা, আমাদের শত্রুপক্ষ ও সমালোচনার লোকের অভাব নেই। সুশৃঙ্খল সম্মেলন করে আমরা প্রমাণ করতে চাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং আগামী নির্বাচনের জন্য সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়