বিএনপি ক্ষমতায় এলে কাকে সরকারপ্রধান করবে, সেই প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন রাখেন শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে এটিএন নিউজের বার্তাপ্রধান প্রভাষ আমিন তাঁর প্রশ্নে বলেন, গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী সরকার যতটা সফলভাবে পরিচালনা করছেন, সমান্তরালভাবে দল ততটা সফল কি না। তৃণমূল আওয়ামী লীগ বড় শক্তি। স্মার্ট-হাইব্রিডদের কাছে তৃণমূল কোণঠাসা কি না? গত দুটি নির্বাচন নানা কারণে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক হতে পারেনি। আশা করা যায়, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। গত দুটি নির্বাচন সহজ হওয়ায় আওয়ামী লীগের অনেকের মধ্যে আত্মতুষ্টি ভাব চলে এসেছে কি না? আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী কী চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাবেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রাচীন একটি দল। সাধারণ মানুষ এই দল গঠন করে। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দলের জন্মস্থান কোথায়? মূল একটি দল আছে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক। তিনি খুনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মেলান। জাতির পিতার হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনি। তিনি আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। তিনি কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছেন। তাঁর হাতে তৈরি দল বিএনপি। আরেক দল জাতীয় পার্টিও একইভাবে স্বৈরশাসকের হাতে তৈরি।
প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি, সেই দলগুলোর কাছে কী আশা করেন? ওই দলের নেতৃত্ব কার হাতে? একজন অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। নির্বাহী ক্ষমতা বলে সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগটা দিয়েছি বয়সের কথা বিবেচনা করে। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও পলাতক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি একেক সিটে দিনে তিনবার করে প্রার্থী পরিবর্তন করে। ঢাকা থেকে একজন ঠিক হয়। আবার লন্ডন থেকে আরেকজন। যে যত টাকা দিয়েছে, তাকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা মাঝখানে নির্বাচন ছেড়ে চলে গেল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন মাঝপথে কেউ নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়, তখন তো মাঠ ফাঁকা। বাকিরা তখন যা খুশি, তা–ই করতে পারে। সেই দোষ তো আওয়ামী লীগের না। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে কাকে সরকারপ্রধান করবে?
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোনো দল নির্বাচনে জয়ী হলে কে সরকারপ্রধান হবেন, সেটা আগেই বিবেচনা করা হয়। তারা যে নির্বাচন করবে, তাতে কাকে দেখাবে? সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে? সে তো দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব নিয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে কত টাকা খরচ করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেল একটু খোঁজ করেন। এখানে গণতন্ত্রের দোষ কোথায়?’
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়