বিএসএফআইসির চিনির মজুদ তলানিতে ঠেকেছে

এক সময় পর্যাপ্ত উৎপাদন ও ডিলারের মাধ্যমে দেশব্যাপী সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি খাতে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখত বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে একদমই উল্টো চিত্র। উৎপাদন অস্বাভাবিক কমে যাওয়ার পাশাপাশি আমদানি না করায় সবশেষ চার মাস মজুদ তলানিতে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটির। এতে বেসরকারি খাতের একক নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় নিত্য এ পণ্যটির দামের অস্থিরতা কমছে না। 

বিএসএফআইসির তথ্যমতে, সারা দেশে ডিলার প্রায় পাঁচ হাজার থেকে কমে বর্তমানে ২ হাজার ৭০০ জনে নেমেছে। মে মাস পর্যন্ত সরকারি মিলে উৎপাদিত চিনির মজুদ ছিল ১ হাজার ১৮ দশমিক ২৩ টন। এরই মধ্যে সরবরাহ দেয়ার পর মজুদ কমে মাত্র ৩০০ টনে নেমেছে। আগামী নভেম্বরের শেষে কিংবা ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে ১৫টি মিলের মধ্যে নয়টিতে চিনি উৎপাদন শুরু করবে বিএসএফআইসি। ফলে মজুদ ফুরিয়ে গেলে আগামী দুই মাস বিএসএফআইসির চিনি সরবরাহ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া আগামী উৎপাদন মৌসুমের আগে ডিলারদের মাত্র এক বস্তা বা ৫০ কেজি করে চিনি বরাদ্দের পরিকল্পনা করছে বিএসএফআইসি। ফলে খুবই নগণ্য এসব চিনি দেশব্যাপী বিস্তৃত ডিলাররা সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় জটিলতার কারণে উত্তোলন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কেজিপ্রতি ১০০ টাকা মূল্যে সরবরাহযোগ্য এসব চিনি খুচরা পর্যায়ে বাড়তি মূল্যেই বিক্রির ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। 

ডিলাররা বলছেন, চিনি বরাদ্দ কমিয়ে দেয়ার কারণে সারা দেশের ব্যবসায়ীরা সীমিত এ চিনি সংগ্রহ করার প্রবণতা কমেছে। অনেকে স্বল্প এ চিনি সংগ্রহ না করে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবসায়ীর কাছে বরাদ্দপত্র বিক্রি করে দেয়। যার কারণে ২ হাজার ৭০০ ডিলারের কাছে বরাদ্দ দেয়া চিনিগুলো মুষ্টিমেয় কিছু ব্যবসায়ী সংগ্রহ করে স্বল্পমূল্যের চিনি বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে। বেসরকারি খাতের সাদা চিনির কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও বিএসএফআইসির ১০০ টাকার বরাদ্দ দেয়া চিনি খুচরায় ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে বিএসএফআইসির আখের চিনি দেশীয় চিনির বাজারকে উল্টো বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। 

সর্বশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে উৎপাদন কমে নেমে এসেছে মাত্র ২১ হাজার ৩১৩ দশমিক ২৫ টন। এর আগে উৎপাদন কম হলে কিংবা দেশে চিনির সরবরাহ সংকট ও দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলে আমদানি করলেও ২০১৮ সালের পর কোনো চিনি আমদানি করেনি বিএসএফআইসি। 

ডিলার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, আমদানি বন্ধ করে দেয়া, ছয়টি মিল বন্ধ রাখা, চাষীদের বকেয়া পরিশোধ না করার মাধ্যমে উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে বিএসএফআইসি। দেশব্যাপী কয়েক হাজার ব্যবসায়ীকে নামমাত্র দু-তিন বস্তা চিনি বরাদ্দ দেয়ায় সরকারি আখের চিনি সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। 

বাংলাদেশ চিনি ডিলার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বরাদ্দ পেয়ে ডিলাররা চিনি উত্তোলন না করলে প্রতি বরাদ্দে ২০০ টাকা হারে জরিমানা কাটা হয়। ৫০ থেকে ১০০ কেজি চিনি বরাদ্দ দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা এসব চিনি সংগ্রহ করলে লাভের পরিবর্তে লোকসান হয়। এ কারণে একটি বড় সিন্ডিকেট এসব বরাদ্দপত্র সংগ্রহ করে মিল থেকে চিনি উত্তোলনের মাধ্যমে বড় ধরনের মুনাফা করে।’ 
এই বিভাগের আরও খবর
টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু

টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু

বাংলা ট্রিবিউন
টানা ৩ দিন ধরে কমছে সোনার দাম

টানা ৩ দিন ধরে কমছে সোনার দাম

দৈনিক ইত্তেফাক
বোতলের সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৭, খোলা ১৪৭ টাকা

বোতলের সয়াবিন তেলের লিটার ১৬৭, খোলা ১৪৭ টাকা

দৈনিক ইত্তেফাক
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট না বসানোর চেষ্টা চলছে

মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট না বসানোর চেষ্টা চলছে

প্রথমআলো
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারে ব্রাজিল

বাংলাদেশ থেকে সরাসরি তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারে ব্রাজিল

বিডি প্রতিদিন
ভারতে স্বর্ণের দামে সর্বকালের রেকর্ড

ভারতে স্বর্ণের দামে সর্বকালের রেকর্ড

বিডি প্রতিদিন
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়