প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, দুই দিনের আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে সব মিলিয়ে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার বা সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। বলেন, এরই মধ্যে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। যদিও এবারের সম্মেলনে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাওয়ার চেয়ে বাংলাদেশের বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতগুলোকে তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।
সোমবার সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে তিনি এসব তথ্য জানান। রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে দুই দিনের এ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ জায়গা উল্লেখ করে বলেন, বিদেশি ব্যবসায়ীদের বলব- আপনারা এখানে বিনিয়োগ করুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ অত্যন্ত নিরাপদ। এখানকার নীতিসমূহ বিনিয়োগ উপযোগী করা হয়েছে। আপনি এখানে বিনিয়োগজনিত মুনাফা দেশে নিয়ে যেতে পারবেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত চার বছরে বাংলাদেশের জিডিপির আকার চারগুণ বেড়েছে। এখানে শিক্ষিত, উদ্যমী, পরিশ্রমী জনশক্তি রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ যে বিনিয়োগের আদর্শ লক্ষ্যবস্তু, বিষয়টি পরিষ্কার করা গেছে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্স হলিডে, রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধাসহ অন্যান্য আকর্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমরা তাদেরকে নতুন বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জেনে অভিভূত হয়েছেন। বলেছেন, বাংলাদেশের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের বিনিয়োগ সম্মেলন বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে দেশের শীর্ষ ১১টি কৌশলগত খাত নিয়ে সম্মেলনের কারিগরি আলোচনাগুলোতে সংশ্লিষ্ট খাতের সম্ভাবনার দিকগুলো ফুটে উঠেছে। বিশ্বকে নতুন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানানো গেছে।
বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বড় সাড়া পেয়েছি। এর মধ্যে সৌদি কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। তারা ইউরিয়া সার, চিনি ও বেফারেজ শিল্পে এবং বড় আকারের সিমেন্ট কারখানা স্থাাপনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এছাড়া আইয়াজ ও ইউনাইটেড গ্রুপ যৌথভাবে ১৫০ মিলিয়ন ডলার, কর্ণফুলি ড্রাই ডক ১১৮ মিলিয়ন ও বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এরই মধ্যে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে দুটি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি এবং চীনের সঙ্গে তিনটি বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে। বিদ্যুৎ, প্রকৌশল, ওষুধ, আইসিটি, হাসপাতাল, পোশাক খাতসহ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে এসব চুক্তি হয়েছে।
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বিদেশিরা কিছু নীতি সহায়তার কথা বলেছে, সেগুলোতে সংস্কার করা হবে। যে অনুকূল পরিবেশ পেলে তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন, সেসব বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়