বিসিবিতে কি হবে? তা নিয়ে নানা জল্পনা, কল্পনা। গুঞ্জন। দায়িত্ব গ্রহণের পর আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়ে দিয়েছেন, বিসিবি যেহেতু স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। সে কারণে এই বোর্ডের পরিচালিত হবে আইসিসির নিয়মনীতি অনুযায়ী।
তবে তিনি জানিয়েছেন, ‘বোর্ড শীর্ষ কর্তা বা সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে বিসিবির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন সভাপতি দরকার। সেক্ষেত্রে বোর্ড সভাপতি পদত্যাগ করলে একজন অন্তবর্তীকালীন সভাপতি নিয়োগ দেয়া যায় কি না! আইসিসির সাথে কথা বলে তা খুঁটিয়ে দেখার পরামর্শও বোর্ডকে দিয়েছেন নতুন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে পালানো এবং তার সরকারের পতনের পর থেকে বিসিবিতে সরাসরি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও আওয়ামী লীগের সাংসদ নাজমুল হাসান পাপন বোর্ডে আসছেন না। শোনা যাচ্ছে, তিনি দেশের বাইরে চলে গেছেন।
কাজেই বিসিবির কাজ পরিচালনার জন্য তার জায়গায় একজন সভাপতি নিয়োগও জরুরি হয়ে পড়েছে। সেক্ষেত্রে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পরিবর্তে অন্তবর্তীকালীন সময়ে একজন বোর্ড প্রধান নিয়োগের সম্ভাবনা প্রচুর। তিনি কী বিসিবির অবশিষ্ট পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন হবেন? নাকি অন্তবর্তীকালিন সরকার মনোনীত কেউ হবেন?
তা নির্ভর করছে আইসিসির নিয়ম ও নীতি অনুযায়ী। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অনুপস্থিত,তার পরিবর্তে নতুন সভাপতি নিয়োগ জরুরি, আইসিসি এই মর্মে নতুন সভাপতি নিয়োগের সবুজ সঙ্কেত দিলে অন্তবর্তীকালীন সময়ে একজন নতুন সভাপতি দেখা যেতে পারে।
তবে তিনি বর্তমান বোর্ড পরিচালকদের মধ্য থেকে হবেন, নাকি বোর্ডের বাইরে থেকে কাউকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হবে- সেটা নির্ভর করবে আইসিসির প্রেসক্রিপশন বা গাইড লাইনের ওপর।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু বিসিবি কেটি শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিসিবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আমরা দিতে পারবো। আমরা শুধু কিছু সাজেশন দিতে পারবো বা নিতে পারবো। বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটি ফেডারেশনের কাজ চালাতে হলে তার সবগুলো অর্গান ঠিকভাবে চালাতে হয়। সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি আছেন অনুপস্থিত। কিন্তু বিসিবির মত একটি অটোনোমাস ফেডারেশন আইসিসির অধীনে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না।’
‘আমরা সাজেস্ট করেছি, যারা বিসিবির পরিচালক আছেন, তারা এ বিষয়ে কিভাবে আইসিসির লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের মধ্য থেকে কিভাবে এ বিষয়টি সমাধান করা যায় এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ করা যায় কি না, এ বিষয়ে তারা আমাদেরকে পরবর্তীতে রিপোর্ট করবে এবং আমরা প্রক্রিয়াটা চালু রাখবো।’
এদিকে ওপরের অংশ পড়ে ভাববেন না বিসিবির সব সমস্যা চুকে গেছে। ক্রীড়া উপদেষ্টা যখন এমন ঘোষণা দিলেন, ঠিক তখন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শোনা গেল ভিন্ন আওয়াজ। বিসিবিতে এক যুগের বেশি সময় ধরে অবহেলিত ও অবমূল্যায়িত ক্রিকেট সংগঠকরা এক হয়ে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালক পর্ষদের অপসারনের দাবিতে সোচ্চার।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়