বেরোবির উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম পেয়েছে ইউজিসি

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ এনে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে উচ্চশিক্ষার তদারক এ সংস্থা।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি তত্কালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. একেএম নুর উন নবীর মেয়াদকালীন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বেরোবির বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট শেখ হাসিনা ছাত্রী হল ও ড. ওয়াজেদ রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ভবন, একটি স্বাধীনতা স্মারক ও দুটি ল্যাব নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাজ শুরুর কয়েক মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে যোগ দেন অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। অভিযোগ উঠেছে, উপাচার্য পদে যোগ দেয়ার পর প্রকল্পটির পরিচালক হিসেবে এক বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পদে থাকাকালীন প্রকল্পের অধীন নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোর নির্মাণে অনুমোদিত ডিপিপির তোয়াক্কা না করেই ভবন দুটির নকশা পরিবর্তন, অযৌক্তিকভাবে নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণের বেশি করা, বিধিবহির্ভূতভাবে পুরনো পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে নতুন পরামর্শক নিয়োগ দেন।

এদিকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি ৪০ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভুক্ত এ প্রকল্পের নানা অনিয়ম নজরে এলে ইউজিসিকে তদন্তের দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত বছর ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সাক্ষাত্কার গ্রহণ শেষে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ইউজিসির ওই কমিটি।

প্রতিবেদনে প্রকল্পের অনিয়ম বিষয়ে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অবকাঠামো নির্মাণে যে অবহেলা, দীর্ঘসূত্রতা ও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা বর্তমান প্রশাসনের অনৈতিকতা, অদক্ষতা ও ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। প্রথমে নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা না করে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়, যা সরকারি ক্রয় পদ্ধতিবহির্ভূত বলে কমিটি মনে করে। নকশা পরিবর্তন করায় নির্মাণাধীন ভবনে এক ধরনের ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রকল্পের পরিচালক পদে দায়িত্বে থাকায় উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর এ দায়দায়িত্ব অবশ্যই বহন করা উচিত। 

এই বিভাগের আরও খবর
প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দীন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন নাসির উদ্দীন

ভোরের কাগজ
ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর গ্রেফতার

ঝালকাঠি-১ আসনের সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর গ্রেফতার

জনকণ্ঠ
জয়কে অপহরণ মামলা : জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

জয়কে অপহরণ মামলা : জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান

নয়া দিগন্ত
প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে ড. ইউনূস

প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে ড. ইউনূস

জনকণ্ঠ
গাজীপুরে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

গাজীপুরে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

বিডি প্রতিদিন
পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র গ্রেপ্তার

পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র গ্রেপ্তার

দৈনিক ইত্তেফাক
ট্রেন্ডিং
  • সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে 'বস্তায় বস্তায় ঘুষ' নেওয়ার অভিযোগ: দুদকের অনুসন্ধান শুরু

  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া