অস্থির মুরগির বাজারে ব্রয়লারের ঊর্ধ্বমুখী দামে দিশেহারা ভোক্তা। তবে খামার থেকে বাজার পর্যন্ত সরবরাহ ব্যবস্থাপনাকে নজরে রাখতে পারলে লাভজনক অবস্থা রেখেই বাজারে দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করে বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন (ওয়াপসা-বিবি)। সেই সঙ্গে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে সচেতন হওয়ার তাগিদ খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।
বিগত দুই মাস ধরে মুরগির বাজারে চলছে চরম অস্থিরতা। প্রতি সপ্তাহের ব্যবধানেই ওঠানামা করছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এতে দিশেহারা ভোক্তারা। তবে মুরগির বাজারের ঊর্ধ্বমুখী দামেও লাভ করতে পারছেন না খামারিরা। লাভের বেশিরভাগ অংশই যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির খাদ্যের দাম ৭৪ টাকা কেজি আর প্রতি পিস বাচ্চার দাম ৬০ টাকা। এতে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচসহ উৎপাদন খরচ অনুযায়ী এক কেজি ব্রয়লারের সর্বোচ্চ উৎপাদনে ব্যয় হয় ১৮৯ টাকা।
তবে খামার থেকে হাত ঘুরে তা খুচরা বাজারে পৌঁছাতেই দেখা দেয় দামের তারতম্য। আর এতেই ব্রয়লারের কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে ভোক্তাকে।
ওয়াপসা-বিবির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব হাসান বলেন, এখন মুরগির উৎপাদন খরচ পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আর ভোক্তামূল্য হওয়া উচিত সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২১০ টাকা। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে বাজারে মুরগির দাম লাগামছাড়া।
বাজারে ব্রয়লারের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই মুরগির বাজারের সব লাভ মধ্যস্বত্বভোগীরা নিয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন খামারি ও উৎপাদনকারীরা। তাই বাজারে এদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
এদিকে ক্রেতারা সচেতন হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি কমে যাবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়