সেচকাজে যান্ত্রিকীকরণের শুরুটা দেশ ভাগের পর পরই। পাম্পের সাহায্যে হাওড়-বাঁওড়, খাল-বিল কিংবা নদীর পানি ফসলি জমিতে ব্যবহার তখন থেকেই শুরু করেন এ অঞ্চলের কৃষক। স্বাধীনতার পর নলকূপ আর গভীর নলকূপে আরো গতি পায় বাংলাদেশের সেচ কার্যক্রম।
তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে পা রাখতে চললেও দেশের বিপুলসংখ্যক সেচযোগ্য জমি রয়ে গেছে সেচ সুবিধার বাইরে। বছর বছর মোটা অংকের বিনিয়োগ করেও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সেচের পরিধি বাড়াতে পারছে না সরকার। এতে ছেদ পড়ছে উৎপাদনশীলতায়। নিম্নগামী প্রবৃদ্ধি হচ্ছে শস্য খাতে।
বাংলাদেশে আবাদের জন্য সেচযোগ্য জমি আছে ৭৭ দশমিক ৬ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে সর্বশেষ অর্থবছর পর্যন্ত সেচের আওতায় এসেছে ৫৬ লাখ হেক্টর। ২৭ শতাংশ বা প্রায় ২১ লাখ হেক্টর জমি এখনো রয়ে গেছে সেচ সুবিধার বাইরে। সেচের পানির দক্ষ ব্যবহারও করতে পারছেন না বাংলাদেশের কৃষক। সেচকাজে ব্যবহার হওয়া ৬০ শতাংশ পানিই অপচয় হচ্ছে। ফলে বিপুল পরিমাণ জমি সেচ সুবিধার বাইরে থাকার পাশাপাশি সেচকাজে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছে।
প্রতি বছর খাতটিতে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করছে সরকার। তবে এর খুব একটা প্রভাব পড়ছে না মাঠ পর্যায়ে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর ৩১৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছর ২৮৩ কোটি ৩৬ লাখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছর ২১৫ কোটি ৫৪ লাখ, ২০১৮-১৯ অর্থবছর ৪৩৯ কোটি ৩০ লাখ ও ২০১৯-২০ অর্থবছর ৪৮৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা—সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে সেচ সম্প্রসারণে সরকারি বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকার বেশি। এর বিপরীতে সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে মোটে এক লাখ হেক্টর জমি। ৫৪ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর। এসব জমি আবাদে ব্যবহূত হয়েছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪১৩টি সেচযন্ত্র। শ্যালো টিউবওয়েল ছিল ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩২টি, শ্যালোর বাইরে সেচে ব্যবহার হচ্ছে প্রায় ৩৭ হাজার ৬৩৪টি গভীর নলকূপ ও ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৮টি লো লিফট পাম্প।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়