বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের শতকরা ৪২ জন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। আর আওয়ামী লীগ কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। এ অবস্থার অবসান তরুণদেরকে ঘটাতে হবে। আজকে তরুণদেরকে জেগে উঠতে হবে, বাংলাদেশের মানুষদেরকে জেগে উঠতে হবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন রচনা প্রতিযোগিতা কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, আজকে শাওন, আব্দুর রহিম নূরে আলমের রক্তকে বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না। তাদের রক্তের প্রতি সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধা জানাতে চাই, ভালবাসা জানাতে চাই। তাহলে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে প্রতিহত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গণতন্ত্র হরণকারীরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, তখন লজ্জা ধিক্কার ছাড়া কিছুই আশা করা যায় না। আজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে শেখ হাসিনা বড় বড় কথা বলছেন যে যুদ্ধ চাইনা, নিষেধাজ্ঞা চাই না। কেউ চায় না যুদ্ধ, কেউ চায়না নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তার মুখে এটা মানায় না। তিনি নিজে এই দেশে হত্যার সঙ্গে জড়িত।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুম হয়ে গেছে আমাদের ছয় শতাধিক মানুষ। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম থেকে শুরু করে আমাদের ছাত্রদলের অসংখ্য ছেলে। এই সমস্ত ছেলেগুলো চলে গেছে মায়ের কোল খালি করে। মা জানে না, বাবা জানে না, কোথায় তারা। আজকে শত শত মানুষকে থানায় নিয়ে গিয়ে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে তারা হত্যা করেছে। এক্সট্রা জুডিসিয়াল কিলিং করেছে। এ কারণে আজকে এলিট ফোর্স র্যাব যারা দেশের সুনাম কুড়িয়েছিল অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে। এ সরকারের অন্যায় আদেশ মানতে গিয়ে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা পড়েছে। সাতজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা পড়েছে এটা নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যথা নেই। তারাই নির্দেশ দাতা তাদের সবার আগে নিষেধাজ্ঞা আসা প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞা ইতোমধ্যে জনগণ দিয়ে দিয়েছে। মানুষ বলে দিয়েছে তোমাদেরকে আর দরকার নেই।
ফখরুল বলেন, উন্নয়ন কখনোই টেকসই হবে না যদি সেখানে গণতন্ত্র না থাকে। আর গণতন্ত্র কখনোই ফলপ্রসূ হবে না, যদি সেখানে পাল্টাপার্টির সিস্টেম না থাকে, এবং মানুষ ভোট দিতে না পারে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি ছাড়া কোন ব্যক্তি নেই বাংলাদেশে। তখনও তাই শুরু করেছিল কিন্তু পারেনি। এরপর এখন আবার শুরু করেছে। এক ব্যক্তির শাসন, এক ব্যক্তির মতবাদ, এক ব্যক্তির সব। কিন্তু এগুলো টিকে না। এ ধরনের কর্তৃত্ববাদ, এ ধরনের ফ্যাসিবাদ কখনোই ঠিকানা। অন্যায় করে, নির্যাতন করে; ভালোবাসা না থাকলে প্রেম না থাকলে কখনো কি কাউকে চিরস্থায়ী করা যায়?
স্বাধীনতার সুবর্ণর জয়ন্তীর উদযাপনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ বির্নিমানে, বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে, উন্নয়নে কর্মকাণ্ডে, উল্লেখযোগ্য যে ভূমিকা রয়েছে তার ইতিহাস তুলে ধরা। বিশেষ করে গত ১৪ বছরে যারা সরকারে তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। বাংলাদেশের ৫০ বছরে ইতিহাসকে বিকৃত করে শুধুমাত্র তাদের স্বার্থে নতুন করে ইতিহাস রচনা করার অপচেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি ইতিহাস রচনা করে ঐতিহাসিক এবং ইতিহাসবিদরা। এছাড়া কেউ ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে না। তারা হয়তো সাময়িক রচনা লিখতে পারেন। এর প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং ৫০ বছরের বাংলাদেশের ইতিহাস আমরা প্রত্যেকের হাতে তুলে দেব।
এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়