রাজবাড়ীতে ৩০ লাখ টাকার ভুয়া কাবিননামা করে সুমন মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে স্বামী হিসেবে দাবি করার অভিযোগের দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে গেছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন (৪০)।
রোববার জামিন চাইতে গেলে ১নং আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেন আলেয়া খাতুন ও ভুয়া কাবিনের দুই সাক্ষীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতের মামলাসূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন একটি ভুয়া কাবিননামা তৈরি করেন এবং কাবিনে স্বামী হিসেবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের সুমন মিয়াকে স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এর পর এ কাবিন দিয়ে আলেয়া খাতুন সুমন মিয়ার কাছে স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করেন, আর সেটি না দিলে ৩০ লাখ টাকা চান তিনি। তখন সুমন মিয়া রাজবাড়ী ১নং আমলি আদালতে কাবিননামাটি ভুয়া ও জালিয়াতি উল্লেখ করে মামলা করেন ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ওপর তদন্ত দেন।
ওই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে কাবিননামাটি ভুয়া এ মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। এর পর রোববার দুপুরে আদালতে জামিন নিতে গেলে ১নং আমলি আদালতের বিচারক সুমন হোসেন আলেয়া খাতুন ও কাবিননামার দুই সাক্ষীকে কারাগারে পাঠান।
এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী নিজাম উদ্দিন হায়দার বলেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের মো. সুমন মিয়াকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া খাতুন স্বামী হিসেবে দাবি করেন। এর বিরুদ্ধে সুমন মিয়া বাদী হয়ে রাজবাড়ীর ১নং আমলি আদালতে 'আলেয়া খাতুনের বিয়ের ৩০ লাখ টাকা ভুয়া কাবিননামা' দাবি করে একটি মামলা করেন।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়