ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাবে সাউ পেরিলা

সয়াবিনসহ অন্য ভোজ্যতেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে সাউ পেরিলা। বর্ষা মৌসুমে (খরিপ-২) বাংলাদেশে চাষযোগ্য একমাত্র অভিযোজিত তৈলজাতীয় ফসল এটি। তাই এর বাণিজ্যিক উৎপাদনের ফলে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব বলে আশা করছেন গবেষকরা।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম এম তারিক হোসেনের তত্ত্বাবধানে ২০০৭ সাল থেকে এর ধারাবাহিক গবেষণা শুরু হয়। দেশে এর চাষাবাদের উপযোগিতা নিরূপণের পর ২০২০ সালে ‘সাউ পেরিলা-১’ নামে জাতটি নিবন্ধিত হয়। এটি গোল্ডেন পেরিলা বা গোল্ডেন পূর্ণা নামেও পরিচিত।

ড. তারিক হোসেন জানান, পেরিলায় রয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ ভাগ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা হার্টের জন্য খুবই উপকারী। এখানে প্রাপ্ত চর্বির ৯১ শতাংশ অসম্পৃক্ত যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্যও উপকারী।

গবেষকরা জানান, সয়াবিন, সূর্যমুখী এবং ভুট্টার তেলে প্রাপ্ত মানবদেহে মেদ বাড়াতে সহায়ক ওমেগা-৬ এর পরিমাণ পেরিলা তেলের চেয়ে অনেক বেশি। ওমেগা-৬ এর পরিমাণ সয়াবিনে ৪৬ শতাংশ, সূর্যমুখীতে ৫৫ শতাংশ এবং ভুট্টার তেলে ৪৯ শতাংশ। কিন্তু পেরিলার তেলে ওমেগা-৬ মাত্র ২৩ শতাংশ। অন্যদিকে সরিষার তেলে এই ওমেগা-৬ এর পরিমাণ কম থাকলেও এতে রয়েছে প্রায় ৪২ শতাংশ ইরিউসিক অ্যাসিড। এই ইরিউসিক অ্যাসিডের মাত্রাতিরিক্ত গ্রহণে মানবদেহের নানাবিধ ক্ষতি হয়।

চাষাবাদ সম্পর্কে অধ্যাপক ড. তারিক বলেন, পেরিলা চাষ জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের শেষ নাগাদ হয়ে থাকে। বীজতলায় প্রায় একমাস ও মূল মাঠে ৬০ থেকে ৬৫ দিন অবস্থানের পর ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব। ফলে পরবর্তী আবাদি মৌসুমে (রবি) ফসল চাষ করতে কোনো সমস্যা হয় না। পানি জমে না এমন যে কোনো জায়গায় এ ফসল চাষ করা যায়।

তিনি বলেন, প্রতি হেক্টর জমিতে ১ দশমিক ৩ থেকে ১ দশমিক ৫ টন পেরিলা উৎপাদিত হয়। পেরিলার মোট বীজ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ তেল উৎপাদন সম্ভব এবং সরিষা তেলের মতোই দেশীয় পদ্ধতিতে ঘানিতে বা কারখানার মেশিনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা যায়। এই তেল সংগ্রহের পর যে খৈল পাওয়া যায় তা যথেষ্ট প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও উপাদেয়।

পেরিলা তেল গ্রহণে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি কমবে অন্যদিকে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এর চাষ বাড়ানো গেলে তেল উৎপাদন বাড়িয়ে সয়াবিনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আমদানি ব্যয় কমানো সম্ভব বলে জানান অধ্যাপক তারিক।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা পেরিলা তেল দেশে লিটারপ্রতি দুই হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশে বসবাসরত বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের মাঝে এ তেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিদেশে এটির পাতাও সবজি হিসেবে বহুল পরিচিত।
এই বিভাগের আরও খবর
ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

ঈদের আগে দুই দফা বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম

জনকণ্ঠ
৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

৫০%-এর বেশি আমদানি হচ্ছে আফ্রিকা থেকে

বণিক বার্তা
পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

পেঁয়াজ রফতানিতে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা ভারতের

বাংলা ট্রিবিউন
এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

এক্সিমের সঙ্গে একীভূত হলো পদ্মা ব্যাংক

যুগান্তর
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর অর্ধেক

প্রথমআলো
সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান - ইউরোপ আমেরিকা এশিয়ার ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ পেট্রোবাংলার

বণিক বার্তা
ট্রেন্ডিং
  • ভালোবাসা দিবসে পরী মনির ‘বুকিং’

  • নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত ২৮

  • ভিসা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে নিলো যে দেশ

  • শন্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

  • ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের পারমাণবিক অস্ত্র বাড়বে তিন গুণ

  • তানজানিয়ায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৯

  • ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বেশি কর

  • কাতার বিশ্বকাপে ফিরছে জিদানের সেই ভাস্কর্য

  • ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞায় তেলের মূল্য আকাশছোঁয়া

  • অবিশ্বাস্য কীর্তিতে হাজার রানের ক্লাবে এনামুল বিজয়