উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের ওপর মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এদিকে আমদানি পর্যায়েও ১০ শতাংশ ভ্যাট কমছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশী।
এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে যথাক্রমে ১৫ ও ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ছিল। এর আগে ২০২১ সালে ১৯ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।
এদিকে গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ কমে ভ্যাট ৫ শতাংশ হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। দাম কমবে কিনা তা ব্রাজিলে পণ্যটির দাম বাড়া-কমার ওপর নির্ভর করছে। কারণ বাংলাদেশ আমদানীকৃত সয়াবিন তেলের ৯০ শতাংশ দেশটি থেকে আনে।
টিপু মুনশি বলেন, ‘যার পাঁচ লিটার তেল দরকার সে ১০ লিটার কিনলে ঠেকাতে পারব না। রমজান উপলক্ষে সবাই কিনতে শুরু করলে তো বাজারে ঘাটতি দেখা দেবেই। যতটুকু কেনা দরকার ততটুকুই কিনি। সবার রান্নাঘরে তো আমরা ঢুকতে পারব না। রমজান মাসের জন্য বেশি না কেনার অনুরোধ করছি।’
পণ্য সংকট আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ দ্রব্য মজুদ আছে। সেটা দিয়ে রমজান মাস পার হয়ে যাবে। এখন দামটা কেমন হবে সেটি কথা হতে পারে। কেউ কেউ মজুদ করে রাখছে, সেটি বড় সমস্যা। টিসিবিও এক কোটি পরিবারকে পণ্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে। পণ্যের দাম কমতেও তো পারে। আমরা চেষ্টা করছি রমজান পর্যন্ত আগের দামটা রাখার জন্য। কিন্তু ব্যবসায়ী ব্যবসা করবেই। বাইরের দেশের কোম্পানিগুলো রমজান বা ঈদে ডিসকাউন্টসহ বিভিন্ন অফার দেয়, আমাদের দেশে সেটি নেই।
পণ্যমূল্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম কমতেও তো পারে। আমরা চেষ্টা করছি, রমজান পর্যন্ত আগের দামটা রাখার জন্য। আমরা প্রতি টন ১ হাজার ৩৫০ ডলার দাম ধরে ১৬৮ টাকা প্রতি লিটার তেলার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। বর্তমাসে সে তেল এক হাজার ৯০০ ডলার হয়ে গেছে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। এসআরও হলে পরে আমরা সঠিক দামটা বলতে পারব। শিগগির জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভ্যাট কমানোর এসআরও করবে।
টিসিবির পণ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিসিবির পণ্য দেয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি রয়েছে। কীভাবে সুশৃঙ্খলভাবে টিসিবির পণ্য দেয়া যায় এবং তাদের তালিকা করে দেয়া যায় কিনা সেটা ভাবছি। এছাড়া ভোটের সময় ব্যবহার করা অমোচনীয় কালি ব্যবহার করেও যদি তাদের চিহ্নিত করা যায় সেটিও দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এবারের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা’। প্রান্তিক পর্যায়ের ভোক্তারা যাতে সহজে অভিযোগ করতে পারে সেজন্য চালু করা হয়েছে ‘ভোক্তা বাতায়ন’ শীর্ষক হটলাইন সার্ভিস, যার নাম্বার ১৬১২১। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের ভোক্তারাও অভিযোগ দায়েরের সুযোগ পাবে।
ই-কমার্সে ভোক্তার অধিকার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন ১০টি মোটরসাইকেল কেনার যৌক্তিকতা নেই। সে ব্যক্তি ১০টি কিনে ব্যবসা করতে চায়। তখন সে তো ভোক্তা থাকে না, ব্যবসায়ী হয়ে যায়। ফলে সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। ইভ্যালির বিষয়ে আমরা কিছু করতে পারব না, বিচার বিভাগে সেটি চলে গেছে। তবে অন্যান্য যেগুলো ক্লিয়ারেন্স পেয়েছি সেগুলো পেমেন্ট করে দিচ্ছি।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়