শুধু রক্ত দিয়ে ত্যাগীদের খাতায় নাম লেখালে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সম্প্রতি ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মাইর খাওয়াই কিন্তু একমাত্র কাজ নয়।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, বাধা এলে বাধা দিতে হবে। আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ করতে হবে। পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করতে হবে। আক্রমণের পাল্টা আক্রমণ ছাড়া বিজয়ের বিকল্প পথ খোলা থাকে না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে যুবদল আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা–কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার নিন্দা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাঁর দাবি, যাঁরা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা ওপর তলার নেতাদের নির্দেশে এই কাজ করছেন। সরকারের সর্বোচ্চ জায়গার নির্দেশে তাঁরা এই অপকর্ম করছেন।
ছাত্রলীগকে লক্ষ্য করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গায়ের জোরে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজকে তোমাদের ব্যবহার করছে। তোমাদের দানবে পরিণত করছে। স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট কায়দায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছাত্রদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও হাতিয়ার হিসেবে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করছে।’
এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ অসহায় বলেও মন্তব্য করেন খন্দকার মোশাররফ। তাঁর দাবি, সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থামাতে পারছে না। কারণ, সরকার পরিচালিত সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বাড়িয়েছে। দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তারাও (সরকার) জড়িত।
এ ছাড়া ছাত্রদলের মতো একই ইস্যুতে অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের আন্দোলনে নামারও আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ। তিনি বলেন, রাজপথে ফয়সালা হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
যুবদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নওয়াজ আলী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ও গোলাম মওলা, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার প্রমুখ।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়