চীনা তুলায় তৈরি পোশাক রফতানির অভিযোগে ভিয়েতনামের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের ভাগ্য ঘুরে যাচ্ছে। বাংলাদেশে গ্যাপ, অ্যাডিডাস এবং নাইকির মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের অর্ডার বাড়তে পারে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায় অধ্যুষিত চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উৎপাদিত তুলা থেকে পণ্য তৈরির ওপর বেশ কিছুদিন ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিশেষ করে চীনের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দাদের জোরপূর্বক শ্রমে নিযুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। ফলে সাম্প্রতিক ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো পণ্যে জিনজিয়াং প্রদেশের কাঁচামাল ব্যবহারের সত্যতা পাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের ৩ হাজার ৬০০টি চালান পরীক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিট গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালক গাজী মো. শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আমাদের দেশে এ ঘটনার একটি প্রভাব পড়বে। যেহেতু অ্যাডিডাস, নাইকির মতো বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো ভিয়েতনামে কিছু অর্ডার কমিয়েছে, সেক্ষেত্রে তাদের বিকল্প হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের এখানে আসবেই।’
নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে ভিয়েতনামে বিশ্বের সব দামি ব্র্যান্ডের পণ্য তুলনামূলক বেশি উৎপাদন হয়। এর মধ্যে দেশটি থেকেই নাইকি অন্তত ২৬ শতাংশ এবং অ্যাডিডাস ১৬ শতাংশ পণ্য কেনে। এ অবস্থায় ভিয়েতনামের ওপর নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের পণ্য রফতানির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘ভিয়েতনামে যদি অর্ডারের হার কমানো হয়, তাহলে অবশ্যই সেই অর্ডারগুলো আমাদের এখানে আসবে। সুতরাং, আমরাও চাই আমরা তাদের মতো ভুল না করি। আমরা এখন বায়ারদের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করতে চাই। যাতে করে এ সুযোগ আমাদের হাতছাড়া না হয়।’
ভিয়েতনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, তারা বাংলাদেশেও ঠিক তেমন সুযোগ-সুবিধাই ভোগ করবে বলে জানান সনেট টেক্সাটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইয়াসিন।
এদিকে ভিয়েতনামের মতো নিষেধাজ্ঞার জটিলতা এড়াতে চীনা কাঁচামাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে কারখানা মালিকদের মৌখিক সতর্কবার্তা দিয়েছে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ। অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে চীনের কালো তালিকাভূক্ত অঞ্চলের কাঁচামাল ব্যবহার হয়নি- এমন প্রত্যয়ণপত্র পাঠানো বাধ্যতামূলক।
বিজিএমইএ প্রথস সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ভিয়েতনামে যে কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, সে কারণে যাতে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞা না আসে, সে জন্য আমরা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র পক্ষ থেকে মালিক পক্ষকে সচেতন করেছি।’
২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গার্মেন্টস পণ্য রফতানি করে ভিয়েতনামকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে ফিরে আসে। তবে ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ব্যবধান মাত্র এক থেকে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়