১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২ মিনিট। বাংলাদেশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে এই ক্ষণটি। এই সময়ে পদ্মা সেতুর ওপরে সর্বশেষ স্প্যানটি বসার মধ্য দিয়ে যুক্ত হলো পদ্মার এপাড়-ওপাড়, তার সঙ্গে যুক্ত হলো সমগ্র বাংলাদেশ। দক্ষিণবঙ্গের কিছু খাল, নদী নালা বাদ দিলে সড়কপথে আজ পুরো বাংলাদেশ এখন সংযুক্ত। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বাকি আছে, রেলসংযোগ সড়কসহ আরও অনেক খুচরো কাজ বাকি-সেগুলো শেষ করতে হয়তো আরও বছরখানেক সময় লাগতেও পারে। তবে প্রমত্তা পদ্মাকে বশ মানাতে মূল যে কাজ ছিল নদী শাসন আর সেতুর পিয়ারের ওপরে স্প্যান বসানো সেই কঠিন আজ পোষ মেনেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্ত দেওয়ায় বলা যায় এটি তার সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্যের অন্যতম হয়ে থাকবে।
তবে সেতু নির্মাণের এই পথটা মোটেও সহজ ছিল না। দেশ স্বাধীনের পর পদ্মা-যমুনার ওপর সেতু স্থাপন করে সারা দেশের সড়ক সংযোগ এবং অর্থনৈতিক বুনিয়াদ শক্তিশালী করার স্বপ্ন দেখতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের বুলেট তার সে স্বপ্নপূরণে বাধা দেয়। পরের ৩৯ বছরে সামরিক উর্দিধারী থেকে শুরু করে নির্বাচিত এবং মনোনীত সরকারগুলোও এই দুই বড় নদীতে সেতুর স্বপ্নটাকে সবসময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। যমুনায় সে স্বপ্নপূরণ হলেও পদ্মা ছিল অধরা। তবে সেই স্বপ্নকে আবার জোরালো করে তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম মেয়াদের ক্ষমতায় এসে ১৯৯৯ সালে এই সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইকে আবারও প্রাধান্য দেন তিনি।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়