বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লার সঙ্গী হলো সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় রংপুর রাইডার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেটকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল শান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ৩০ বলে ৪০ রান করে আউট হন নাজমুল শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার তৌহিদ হৃদয়। দলীয় ৭৭ রানে ২৫ বলে ২৫ রান করে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়। এরপর জাকির হাসান ও মাশরাফি মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। তবে দলীয় ১০১ রানে ১৩ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান জাকির হাসান। এরপর ক্রিজে আসা রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটিং করতে থাকেন মাশরাফি। কিন্তু দলীয় ১৩২ রানে ৬ বলে ১৫ রান করে আউট হন বার্ল।
বার্লের বিদায়ের পর পরই দলীয় ১৩৪ রানে ১৬ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাশরাফি। এরপর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিক। দলীয় ১৪২ রানে ৫ বলে ৬ রান করে ফিরে যান মুশফিক। এরপর জর্জ লিন্ডে ও থিসারা পেরেরা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে ইনিংসে শেষ ওভারে দলীয় ১৭৮ রানে ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন থিসারা পেরেরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
জর্জ লিন্ডে ১০ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। রংপুরের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও দাসুন শানাকা নেন দুটি করে উইকেট।
১৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। দলীয় ৩ রানে ৪ বলে ১ রান করে আউট হন স্যাম বিলিংস। এরপর ক্রিজে আসা শামিমকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন রনি তালুকদার। তবে দলীয় ৩৪ রানে ভালো ব্যাটিং করতে থাকে শামিম আউট হন। ১১ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান শামিম হোসেন। এরপর ক্রিজে এসে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন নিকোলাস পুরান। তবে দলীয় ৬৮ রানে ১৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন পুরান।
একদিকে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন ওপেনার রনি তালুকদার। নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন রনি। অন্যদিকে রনিকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন নুরুল হাসান সোহান। রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে দলীয় ১৫০ রানে সোহান আউট হলে ৮২ রানের জুটি ভাঙ্গে। ২৪ বলে ৩৩ রান করে আউট হন সোহান। সোহানের বিদায়ের পর পরই সাজঘরের পথ ধরেন রনি তালুকদার। দলীয় ১৫১ রানে ৫২ বলে ৬৬ রান করে রান আউট হন রনি। এরপর দলীয় ১৫৫ রানে উডের বলে দারুণ ক্যাচে মেহেদীকে ফেরান উইকেটরক্ষক জাকির হাসান। ৫ বলে ২ রান করে আউট হন মেহেদী। রংপুরের শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২৪ রান।
এই বিভাগের আরও খবর
ট্রেন্ডিং
সর্বাধিক পঠিত
- সাতক্ষীরা জেলার দুজন সাংসদকে মন্ত্রী দাবি
- বড় চমক থাকছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে
- চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি
- একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি
- ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডোর হয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি
- ঘুরে আসুন সাদা পাথরের দেশে
- অ্যাশ-ম্যাশের স্বাগত খুনসুটি
- শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
- ঘুরে আসুন সিকিম
- ভোটারদের সঙ্গে সালমানের শুভেচ্ছা বিনিময়